স্টাফ রিপোর্টার: মহানগরীর ছয় শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আজ সোমবার বিকেলে নগরভবন চত্বরে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রেস্ট, প্রাইজব্রন্ড ও ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সম্মান জানানোর সুযোগ দিয়েছেন, এজন্য আমরা ধন্য হয়েছি। অনুষ্ঠানে আসার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে। দোয়া করি এ সময় যেন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকে এবং আমরা ভালোভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে দিবসটি উদযাপন করতে পারি। কারণ আওয়ামী লীগ না থাকলে দিবসটি কেউ উদযাপন করবে না।
সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। আর যাতে কেউ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলার অপচেষ্টা না করতে পারে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সাহস থেকে রাজাকারমুক্তি বাংলাদেশ গড়তে পেরেছি, আর যেটুকু বাকি আছে আগামীতে সেটিও করতে পারবো বলে আশা করছি।
অনুষ্ঠানে যুদ্ধকালীন চীফ মেডিকেল অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. ইমদাদুল হক বলেন, মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আমাদের এমনভাবে সম্মানিত করেছেন, মনে রেখেছেন, এতে আনন্দে শুধু খুশি নয়, আমার কান্না চলে এসেছে। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলে শেষ করা যাবে না। অনুষ্ঠানে এসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির কথা মনে পড়েছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা দুরুল হুদা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য ৩০ ডিসেম্বর নৌকায় ভোট দিতে হবে। তা না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্যে সবার উচিত মাঠে নামা।
সিটি কর্পোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ধসঢ়; মোমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তার বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রাজশাহী বিশ্বিবিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ আজম শান্তনু। অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাদী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক (বীর বিক্রম), সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খোকা, সাবেক মহানগর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, যুদ্ধকালীন বিএলএফ কামান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকদৌল্লা খাঁন, সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১, ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান পরিচ্ছন্ন শেখ মো. মামুন ডলার প্রমুখ।