স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহী-২ সদর আসনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ আসন। বিভাগীয় শহরের এই আসনটি আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চাই। সদরে মেয়রের সঙ্গে এমপির যদি জোড়া হয়, তবে উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত হবে। আর তা যদি কোনো কারণে তা না হয়, তবে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে।
বুধবার বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী-২ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
মতবিনিময় সভায় জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য সন্তান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছেন, ১ কোটি ২৮ লক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। এরপর তরুণদের আর কী চাওয়া থাকতে পারে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কথাটি বলেন, সেটি করেন। তিনি ভোট নেওয়ার জন্যে বলছেন, সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার কথা বলেছিলেন।
তখন দেশের স্বাধীনতার বিপক্ষের মানুষ এবং আমাদের পক্ষের অনেকে না বুঝেই বলেছিলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ, সেটা আবার কী জিনিস। কিন্তু মাত্র প্রায় ৯ বছরে দেশের সরকারি-বেসরকারি কর্মকাণ্ডের হিংসভাগ ইতোমধ্যে ডিজিটাল হয়ে গেছে। এখন মানুষের হাতে হাতে উন্নত প্রযুক্তির মোবাইল। মানুষ চাইলেই স্বল্প খরচে বা অনেকক্ষেত্রে বিনামূল্যে বিদেশে কথা বলতে পারছে। এটিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান।
ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে চাকরিতে বয়সসীমা না রাখার সমালোচনা করে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বয়স্করা যদি চাকরি করে তাহলে যুবকরা কী করবেন? যুবকদের সুযোগ দিতে হবে না? যুবকদের অধিকার নেই? ভোট নিতে ইশতেহারে তারা স্ববিরোধী কথা বলেছেন।
মেয়র আরো বলেন, আজকে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নকশা বা পরিকল্পনা করেছেন ২১০০ সালে বাংলাদেশ কেমন হবে, কোথায় যাবে। আর প্রধানমন্ত্রী যেভাবে উন্নয়ন করছেন, ২০৪১ সাল নয়, তার অনেক আগেই বিশে^র অন্যতম ধনী দেশে পরিণত হবে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি-জামায়াত নামক অপশক্তিকে, একাত্তরের পরাজিত শক্তিকে রাজশাহীর মাটি থেকে চিরতরে বিদায় করে দেয়ার সময় এসেছে। এবারের নির্বাচনে যদি আমরা তাদের হারিয়ে দিতে পারি, তাহলে এই শহরে তাদের লাফলাফি আর দেখতে হবে না। তারা এমনিতেই ইতোমধ্যে জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখিত হয়েছে, হারিয়ে গেছে। বাকি যেটুকু টিম টিম করে আলো জ¦লছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে এক ফু দিয়ে নিভিয়ে দিতে হবে। এজ্য নিজ নিজ জায়গা থেকে নৌকায় ভোট প্রদানে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে হবে।
সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী। মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আসলাম সরকার। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, নিঘাত পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন ও রেজাউল ইসলাম বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ, ত্রাণ ও গবেষণা সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টুসহ মহানগর আওয়ামী লীগ, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়াম লীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।