“আমি আপনাদের সেবক, আপনারা আমাকে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। এজন্য আমি সবার কাছে ঋণী। আমি এই ঋণ পরিশোধ করতে পারব না। করতেও চাই না। আমি আপনাদের সাথে থাকতে চাই।”
আজ শুক্রবার বিকেলে নগরভবনের গ্রীন প্লাজায় এক উৎসব মূখর অনুষ্ঠানে দায়িত্ব গ্রহণকালে অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এসব কথা বলেন। এসময় সিটি কর্পোরেশনের ৩০জন কাউন্সিলর ও ১০জন নারী কাউন্সিলরও দায়িত্বগ্রহণ করেন।
মেয়র লিটন আরো বলেন, মেয়রের কাজ শুধু রাস্তাঘাট পরিস্কার, ড্রেন পরিস্কার ও মশা মারা না। প্রধানমন্ত্রী যেমন দেশের সার্বিকক্ষেত্রে উন্নয়ন করছেন, তেমননি মেয়রের কাজ নগরীর মানুষের সার্বিক কল্যান করা। আমি রাজশাহীর মানুষের তেমন কল্যান করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহীতে পূনাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করতে চাই। রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহনী ট্রেন আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে। এছাড়া রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চালু করবো। রাজশাহীতে বিগত সময়ে শিল্পায়ন হয়নি। শিল্পায়ন করা হবে।
এরআগে, বিকেল তিনটার দিকে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলদের সাথে নিয়ে নগরভবনে যান রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। নগরভবনে পৌছালে সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ নবনির্বাচিত মেয়রকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান। এরপর জাতীয় পতাকা ও সিটি কর্পোরেশনের পতাকা উত্তোলন করেন মেয়র লিটন। পতাকা উত্তোলনের পরে বেলুন ও পায়রা উড়ান তিনি।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, ওমর ফারুক চৌধুরী, আব্দুল ওয়াদুদ দারা, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আকতার জাহান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো মহাপরিচালক কেএম আব্দুস সালাম, রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আমিনুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের, রাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল খালেক, কবিকুঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিক, মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আব্দুল হাদি ও দুরুল হুদা, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম-উল-আজিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মেয়র লিটনপত্নী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার বলেন, রাজশাহীকে আবারো বদলে দিতে চাই। এজন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও পরার্মশ কামনা করছি। আগামীতে রাজকশাহী শুধু দেশের মধ্যে নয়, বিশ্বের মানচিত্রে রাজশাহীর নাম জ্বলজ্বল করবে। রাজশাহী হবে শ্রেষ্ঠ নগরী।
স্বাগত বক্তব্য দেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোমিন। অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.এম আব্দুস সোবহান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, মেয়র লিটন কন্যা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আনিকা ফারিহা জামান অর্নাসহ সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজশাহী প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেয়র পদে জয়লাভ করেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। গত ৫ সেপ্টেম্বর তাকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরআগে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল মার্চ পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে মেয়রের দায়িত্বে থাকাকালে রাজশাহীর ব্যাপক উন্নয়ন করে নগরীর চেহারায় পাল্টে দিয়েছিলেন তিনি।