তানোর প্রতিনিধি: কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে নিজের চালকল থেকে আমদানি না করে চোরায় ভাবে অভিনব কৌশলে রাজশাহীর তানোরে ফের চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে নিম্মমানের চাল কিনে খাদ্যগুদামে নিয়ে আসার সময় রাস্তায় আটক করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে । পরে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের হস্তক্ষেপে ছাড় পায় বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন । এর আগে জুমারপাড়া এলাকার আমেনা চাল কলের মালিক রাকিব চাপাইনবাবগঞ্জ সদর এলাকার টি ইসলাম থেকে চাল নিয়ে আসার সময় আটক করে জনতা ।
গতকাল রোববার মুন্ডমালা পৌর এলাকার সাত্তার চাল কলের মালিক মাস্টার আব্দুস সাত্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জ আতাহার এলাকার রফিক চাল কল থেকে ট্যাক্ট্ররে করে চাল আনার সময় মুন্ডমালা রাস্তার তেলপাড়া নামক স্থানে আটকের ঘটনা ঘটে। ফলে সরকারী ভাবে চাল সংগ্রহ নিয়ে কোন ভাবেই কালছেনা অনিয়ম। জানা গেছে গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে সরকারী ভাবে খাদ্য গুদামে চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়।চলমান থাকবে ফ্রেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত । এরই মধ্যে অনেকে তাদের বরাদ্দের চাল সরবরাহ শেষ করে ফেলেছেন । কিন্তু সাত্তার মাস্টার কোন ভাবেই চাল সরবরাহ করতে পারেন নি। তিনি গত রোববার দুপুরের দিকে ট্যাফে ট্র্যাক্টরে করে চাপাইনবাবগঞ্জ সদর এলাকার আতাহার পুর রফিক চাল কল থেকে অভিনব কায়দায় তানোর পৌর সদর গোল্লাপাড়া খাদ্য গুদামে নিয়ে আসছিল।বস্তায় কালো কালির খাদ্য গুদাম লিখাটি নিচে রেখে উপরে সবুজ কালির লিখা এবং উপরে তিনটি বস্তার গাইট বাধা ছিল যাতে কোন ভাবেই কেউ বুঝতে না পারে। কিন্তু পথে মধ্যে মুন্ডমালা তেলোপাড়া নামকস্থানে চালের ট্র্যাকে খাদ্য গুদামের ৩০কেজির বস্তা দেখে সন্দেহ হলে আটক করে জনতা ।
আটকের পর ওই এলাকার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের তদারকিতে ছাড়া পায়। সাত্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় চাল কল আমার । এখান থেকে উৎপাদন করে চাল দিলে নিতে চাই না গুদাম কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা । এজন্য বাধ্য হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আতাহার এলাকার রফিক রাইস মিল থেকে কিনে গুদামে সরবরাহ করছি । আমি কোথাই থেকে চাল দিব সেটা আমার ব্যাপার । আপনিতো বাহির থেকে চাল আনতে পারেননা প্রশ্ন করা হল দম্ভক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন সেটা কর্তৃপক্ষ দেখবে। কত বস্তা চাল নিয়ে আসছেন জানতে চাইলে তিনি জানান ৩০ কেজির ৪২০ বস্তা।
রফিক অটো রাইস মিলের ম্যানেজার কালামের সাথে ফোনে জানতে চাওয়া হয় তানোরের খাদ্য গুদামে কিভাবে চাল দিচ্ছেন তিনি জানান আমাদের চাল বেচা নিয়ে কথা । কোন গুদামে গেল সেটা দেখার বিষয় না । গুদাম কর্মকর্তা তারেকুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ভালো চাল নেবার জন্য আমাদের নির্দেশ আছে । সাত্তার চাল কলের বরাদ্দ রফিক অটো রাইস মিল থেকে সংগ্রহ করা যায় কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে জানান সারা দেশে যেভাবে সংগ্রহ হয় এখানেও এইক নিয়মে হচ্ছে। অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা খাদ্য অফিসার বিকাশ জানান যে মিলের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সে মিল থেকেই চাল দিতে হবে । এবিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে । উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মোঃ গোলাম রাব্বী বলেন বিষয়টি জানার পর গুদাম কর্মকর্তাকে সতর্ক করা হয়েছে।
উপজেলার ২৭ বৈধ অবৈধ মিলে বরাদ্দ হয় ১৮০০ দশমিক ৪৩ মেঃটন । কেজিতে ৩৮ টাকা দরে কিনছে সরকার ।