তানোর প্রতিনিধি: এক জন সফল সংগঠক হিসেবে নিজেকে তুলে ধুরে সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে প্রানের নেতা হওয়া যায় সেটি দেখিয়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে কিভাবে জনপ্রিয় হওয়া যায় সেটিও দেখিয়ে প্রমান করেছেন রাজশাহীর তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কলমা ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।
উপজেলার এপ্রান্ত থেকে দৌড়িয়ে ও প্রান্তে গিয়ে যুবলীগকে করেছেন চরম শক্তিশালী বঙ্গবন্ধু সৈনিক। সদ্য হয়ে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা জুড়েই ছিল তাঁর অন্যতম ভুমিকা। নিজের ইউনিয়কে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলেছেন তিনি। ফলে তৃনমূলের নেতাকর্মীরা ব্যাপকভাবে দাবি তুলেছেন দলের জন্য চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার কোন বিকল্প নেই। বৃহত্তর দলীয় স্বার্থে এবং দলে ঐক্য বজায় রাখতে ময়না চেয়ারম্যানের বিকল্প ভাবছেন না তরুণ প্রজন্ম ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা। জানা গেছে কলেজ জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল চেয়ারম্যন ময়না। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি রাখেন অন্য রকম ভুমিকা।
২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়ে পরাজিত হলেও রাজনীতির হাল ছাড়েননি তিনি। ২০১১ সালের ইউনিয়ন ভোটে দল তাকে মনোনায়ন দিলেও ছিল বিদ্রোহী প্রার্থী তারপরেও চমক লাগিয়ে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না । ২০১৬ সালের দলীয় প্রতিকে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন । তাঁর আগে কাউন্সিলের মাধ্যমে উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। নব উদ্দমে শুরু করেন যুবলীগ গঠনের কাজ। প্রতিটি ইউনিট ওয়ার্ডে করেন নিয়োমিত সভা। যার ফলে উপজেলায় শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে যুবলীগকে গড়ে তোলেন। কোন ধরনের লবিং গ্রুপিং রাখেন নি তাঁর গড়া যুবলীগের ভিতরে । তাঁর নির্বাচনী ইউনিয়ন কলমা এলাকায় প্রতিটি পরিবারে রয়েছে তাঁর উন্নয়নের ছোঁয়া । যেখানে বিদ্যুৎ যাবার কথা না সেখানেও বিদ্যুৎ দিয়ে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন প্রতিটি পাড়া মহল্লায় । স্বাধীনতার পর প্রথমবারের কলমা বাসি পেয়েছেন এমন উন্নয়নের স্বাদ। বিশেষ করে কলমা ইউপি এলাকায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস ব্যাপক হারে।
তিনি অস্বচ্ছল বৃদ্ধ অসহায় আদিবাসীদের জিবন মান উন্নয়নে তাদেরকে নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ভাতার আওতায়। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রানের নেতা হয়ে উঠেন ময়না চেয়ারম্যান। তিনি গড়ে তুলেছেন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ সংগঠন । তাঁর ইউপি এলাকায় তাঁর বিপক্ষে কথা বলারমত তেমন কোন মানুষ নেই । কারন তাঁর পরিষদ সবার জন্য উন্মুক্ত । সবাই নির্দ্বিধায় অবাধে কথা বলতে পারেন । সৈনিক লীগের কলমা ইউপির সভাপতি ফারুক সাধারন সম্পাদক তানভির জানান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ময়না চাচার বিকল্প দেখছিনা। তাঁর মত দলের নিবেদিত আপোষহীন নেতার দরকার আছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। আমরা কলমা বাসি হিসেবে চাইব নৌকার মাঝি যেন চেয়ারম্যান চাচাকে করা হয়। প্রবীণ আ”লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আতাউর রহমান জানান ময়না দলের সাথে কখনো বেইমানি করেননি এটা আমাদের অভিভাভাবক সাংসদকে বুঝতে হবে। জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রতিটি দলীয় নির্বাচনে ছিল তাঁর একনিষ্ঠ ভুমিকা। উপজেলা আ”লীগ এক প্রকার নিষক্রিয় । সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেছেন চেয়ারম্যান ময়না ।
আমি চাইব তাকে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেয়া হোক দলিয় মনোনায়ন। অনেকে চাইবেন দল যাকে দিবে তাঁর হয়েই কাজ করা হবে। এব্যাপারে লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জানান সবার একটা স্বপ্ন থাকে উপরে উঠার । আমি মনোনায়ন চাইব দল যদি আমাকে দেন তাহলে উপজেলাটি সাংসদকে উপহার দিব ইনশায়াল্লাহ। দল যদি মনোনায়ন না দেয় সে ক্ষেত্রে কি করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে যায়নি এবং যত দিন বেচে থাকব দলের বাহিরে যাবনা। মনোনায়ন না পেলে যাকে দেয়া হবে তাঁর হয়েই বিজয় নিয়ে আসা হবে। তবে আমার বিশ্বাস বিগত দিনে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে কোন দিন গিয়ে বিদ্রোহ করিনি এজন্য আমি মনোনায়নের ব্যাপারে আসাবাদি এবং পেলে বিজয়ের ব্যাপারেও আমি শতভাগ আসাবাদি । আ”লীগ বৃহত্তর সংগঠন অনেক যোগ্য সম্পন্ন নেতা আছেন অনেকেই মনোনায়ন চাইতেই পারেন।