স্টাফ রিপোর্টার:
বর্তমান বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল রূপান্তরিত হয়েছে। উন্নয়নের মহাসড়কে এখন বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন ডিজিটালে রূপান্তরিত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সহায়ক প্রকল্প কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম রাজশাহীর কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের কাজ এগিয়ে চলছে দ্রতগতিতে। রাজশাহীর কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজের প্রায় ৭৫ শতাংশ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। আগামী ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে কাজটি শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করেন। সামগ্রিক ভাবে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের নির্মান কাজগুলো।
প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে রাজশাহীবাসীর অপার সম্ভবনা দার খুলবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সৌন্দর্যবর্ধন, কর্মসংস্থান ও আইটিতে যুগন্তকারী মেগা প্রকল্প। এতে হাজারো মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। উন্নয়নের ধারা প্রবাহিত হবে। আইসিটি মন্ত্রণায়ের ইঞ্জিনিয়ার মুসা বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ১৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকার চুক্তি সম্পূর্ন করছেন আনোয়ার ল্যান্ড মার্ক লিঃ। কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের ৫ম তলা বিল্ডিয়ের ৪র্থ তলা নির্মানের কাজ, বাউন্ডারি ওয়াল, সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ দৃশ্যমান হচ্ছে। এখানে নির্মান হবে বঙ্গবন্ধু চত্বর। যদিও এটির এখন টেন্ডার হয়নি।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির কাজটি হচ্ছে উন্নতমানের। আনোয়ার ল্যান্ড মার্ক লিঃ প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মোশারফ বলেন, ইতিমধ্যে বিল্ডিয়ের ৫ম তলার মধ্যে ৪র্থ তলার বিল্ডিয়ের কাজ হয়েছে, গাড়ি পার্কি, শেয়ার ওয়াল, বাউন্ডারির কাজ সম্পূর্ন হয়েছে। চারিদিকে সোলার প্যানেলের কাজও সম্পূর্ন হয়েছে। সাবস্টেশন ৫০০ কেবি, রেন ওয়াটার হারভেসটিং ট্যাক, হলরুম হবে গ্র্যান্ড ফ্লোর ও সেকেন্ড ফ্লোরে। অত্যাধুনিক লাইব্রেরি, জিম, গেষ্ট হাউজ, টয়লেট, প্রতিবন্ধী টয়লেট, প্রতিটি ফ্লোরে টাইলসের কাজ দৃশ্যমান। আনোয়ার ব্যান্ডের নিজস্ব সিমেন্ট, রড, পাইপ দিয়ে কাজ চলছে। উন্নতমানের রড, সিমেন্ট, বালু ও ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। নিজস্ব যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজটি হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায়।
এলাকাবাসী বলেন, কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক সৌন্দর্যবর্ধন, আইসিটি ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারীর প্রকল্প। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে উন্নতমানের। এই প্রকল্পটির জন্য এলাকাবাসীর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় মেয়র এ, এইচ, এম, খায়রুজ্জামান লিটনকে আন্তারিক ভাবে ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করেন।