বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় চাঁদা না পেয়ে ওয়ার্ড আওয়াীলীগের এক নেতাকে লাঠিপেটা করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আড়ানি ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড আ’লীগের সাংগঠিক সম্পাদক আহত আলম ওই ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা একরাম আলীর ছেলে। সোমবার (১৪-১-১৯) সন্ধ্যায় তার স্ত্রী মোমেনা তাকে উদ্ধার করে বাঘা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে কথা হলে আলম জানান, রম আলম নামের এক ব্যবসায়ী তার গ্রামের বিভিন্ন লোকের জমি লিজ নিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আগে থেকে পুকুর খনন শুরু করেণ। তিনি দৈনিক মজুরিতে কেয়ারটেকার হিসেবে দেখাশুনা করছিলেন। এই সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু মাটি বিক্রি করতেন। এর জন্য তার দলের ও একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ও রনি বিভিন্ন সময় তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। দফায় দফায় ৫হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। সর্বশেষ সোমবার বিকেলে টাকা না দেওয়ায় বিল এলাকায় বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে ডান পায়ের হাটুতে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধর করে আহত করে। খবর পেয়ে স্ত্রী মোমেনা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ নিয়ে মামলা না করার জন্যও ভয়ভীতি দেখায় তারা। এ কারণে অভিযোগ করতে সাহস পাননি। আন্তঃ বিভাগের চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার বলেন, হাঁড় ভেঙ্গে না গেলেও লাঠির আঘাতে হাটুর জয়েন্ট কিছুটা স্থানচ্যুত হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজ্জাকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। তার (রাজ্জাক) পিতা ও ওই ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউনিয়ন সদস্য আজিজুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আলম ও রাজ্জাক দু’জনই দেখাশুনা করতো। তাদের মধ্যে টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেণ তিনি। ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি, প্রভাষক শফিকুল ইসলাম নান্টু বলেন, ওইসব লোকজনের বেপরোয়া কর্মকান্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। যার সত্যতা পেয়ে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী বলেন, লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে শুনেছেন।