স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের আমগাছি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। দাফন কাজে অংশ নেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে তাজুল ইসলামের প্রথম জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ জানাযা নামাজে অংশ নেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
জানাযার পূর্বে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগ নেতা তাজুল ইসলামের মৃত্যুর খবরটি মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে জানাই। ফিরতি বার্তায় প্রধানমন্ত্রী তাজুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এসময় মেয়র বলেন, আমি যখন থেকে রাজনীতি শুরু করেছি, তখন থেকে তাজুল ইসলামকে দেখে আসছি। নানা সুখে-দুঃখে আমরা একসঙ্গে পথ চলেছি। তিনি অত্যন্ত মিশুক মানুষ ছিলেন। পরিশ্রমী সমাজসেবীও ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতের আবারো গভীর শোক প্রকাশ করছি ও সমবেদনা জানাচ্ছি।
জানাযা নামাজে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন তাজুল ইসলামের ভাই বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ, বড় ছেলে বদরুল ইসলাম তাপস, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সাবেক এমপি রায়হানুল হক, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিনসহ অন্যান্য কাউন্সিলর ও মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এরআগে তাজুল ইসলামের মরদেহে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, মেয়র লিটনের নেতৃত্বে কাউন্সিলরবৃন্দ, রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।
এরপর তাজুল ইসলামের লাশ নেয়া হয় পুঠিয়া পিএন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। মরদেহের গাড়ির বহরের সাথে পুঠিয়া যান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। জানায়ার পূর্বে সেখানেও বক্তব্য দেন মেয়র লিটন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, সাবেক এমপি রায়হানুল হক, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
পৌনে ১২টায় অনুষ্ঠিত জানাযায় পুঠিয়ার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাসহ নানা শ্রেণীপেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
এদিকে দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাজুল ইসলামের তৃতীয় জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ জানাযা নামাজের আগে বক্তব্য দেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বাদ জোহর অনুষ্ঠিত এই জানাযা নামাজে অংশ নেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, দুর্গাপুর পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে বিকেল পৌনে চারটায় ঝালুকা ইউনিয়নের আমগাছি গ্রামে তাজুল ইসলামের চতুর্থ ও শেষ জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। দাফন কাজে অংশ নেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক।