স্বদেশ বাণী ডেস্ক: বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা চক্রে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ের পর টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়া শেখ হাসিনা শনিবার বিকালে এই শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা চক্রের আয়োজন করেন।
নির্বাচনের আগে যেসব রাজনীতিকের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সংলাপ করেছিল, চা চক্রে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে সংলাপে অংশ নিলেও এবার চা-চক্রে অংশ নেননি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।
এ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শুক্রবার চিঠি দিয়েছেন তারা। চিঠিতে আমন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।
গণভবনের দক্ষিণের সবুজ চত্বরে এই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দলসহ ১৪ দলীয় জোট, মহাজোট ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত হন।
অতিথিদের বসার ব্যবস্থা করতে সবুজ চত্বরে চেয়ার, টেবিল, মোড়া ও মাদুরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে অতিথিদের নানা খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।
খাবারের মধ্যে ফুচকা, চটপটি, পাটিসাপটা, ভাপা, চিতই, পুলি পিঠা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কাবাব, নানরুটি, পরোটার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও ছিল শরবত ও কফি।
বিকাল ৪টায় সবুজ চত্বরে এসে ঘুরে ঘুরে অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ওবায়দুল কাদের, ফারুক খান, আব্দুল মতিন খসরু, আব্দুর রাজ্জাক, দীপু মনি, শ ম রেজাউল করিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাছান মাহমুদ, ইকবালুর রহিম, দেলোয়ার হোসেন, আবদুস সোবহান গোলাপ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাহাউদ্দিন নাসিম, এনামুল হক শামীম ও বিপ্লব বড়ুয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জোট সঙ্গী জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে রওশন এরশাদ, দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ, রুহুল আমীন হাওলাদার, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, শিরিন আখতার, জাসদের (আম্বিয়া) মঈনুদ্দিন খান বাদল, নাজমুল হক প্রধান, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, ফজলে হোসেন বাদশাকেও অনুষ্ঠানে দেখা গেছে।
ছিলেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা এম এ মান্নান, মাহি বি চৌধুরী, শমশের মবিন চৌধুরী।
ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মিজবাহুর রহমান চৌধুরী, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বাশার মাইজভাণ্ডারি, সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া, বিএনএফ সভাপতি নাজমুল হুদা প্রমুখ উপস্থিত হন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছিলেন।
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে অতিথিদের ধন্যবাদ জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আতিথেয়তায় ঘাটতি থাকলে সেটা আমরা হৃদয়ের উষ্ণতা দিয়ে পূরণের চেষ্টা করেছি। এখানে আমরা কেবল চা চক্রই করিনি, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময়ও করেছি।