আব্দুল হামিদ মিঞা,বাঘা:
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রতাশি অনেকের মধ্যে স্থানীয়ভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য জেলা থেকে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। দলটির গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী বর্ধিত সভায় ৩ জনের নাম নির্ধারণ করে জেলায় পাঠানো হয়। সভায় নির্বাচনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করে লিখিত আকারে তাদের নাম ঘোষনা করে নাম পাঠানো হয়েছে। জেলা থেকে কেন্দ্রে পাঠানোর পর, এখন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন প্রার্থী থেকে শুরু করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে তফসিল ঘোষণার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে দলের নির্ভযোগ্য সুত্রে জানা গেছে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর সহাবস্থান, যোগ্যতা ও জনসমর্থন বিবেচনায় আসবে বলে জানান দলের নেতারা। আর এর মধ্য দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিহাসে সূচিত হচ্ছে আওয়ামীলীগের এক নতুন ইতিহাস।
২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,বাঘা উপজেলা কমিটির সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সভাপতিত্বে শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে সভা অনুষ্ঠত হয়। ভোটার ও প্রার্থী সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ইত্যাদি বিষয় ছিল উল্লেখযোগ্য। সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল,বাঘা পৌর সভার সাবেক মেয়র ও জেলা কমিটির সদস্য আক্কাছ আলী ও জেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এ্যাভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলুর নাম জেলা থেকে কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন আশরাফুল ইসলাম বাবুল। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী প্রার্থীর ভোটের তুলনায় ৩ হাজার ২৬৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ২৫ হাজার ২৬০ ভোট। সংগঠনের নের্তৃত্বে থেকে সরাসরি ভোটের রাজনীতিতে আসেন বাবুল। আক্কাছ আলী ছাত্র রাজনীতি থেকে ভোটের রাজনীতিতে এসে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পরে পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক ছিলেন তিনি। আরেক প্রার্থী রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমান রাজশাহী জেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু। জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন লাভলু। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন লাভলুসহ দলের আরেক নেতা প্রয়াত মিজানুর রহমান মিনু। দ্বিধা বিভক্তির কারণে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হতে পারেনি আওয়ামীলীগ। ২০১৪ সালের নির্বাচনে একক প্রার্থী দিয়েও জামায়াত নেতার কাছে পরাজিত হয়েছে আ’লীগ। এবার কে হচ্ছেন দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী,এনিয়ে প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের দৃষ্টি এখন কেন্দ্রের দিকে।
জেলার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এ্যাভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে তিনি যাবেননা। একই কথা বলেছেন আক্কাছ আলী। আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, এখনও নিশ্চিত হয়নি। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি।
রাজশাহী জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশানায় উপজেলা থেকে জেলায় নাম পাঠিয়েছে। পরে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত সবাইকে মেনে নিতে হবে।