স্টাফ রিপোর্টার:
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরব চারঘাট উপজেলাবাসী। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ১০ মার্চ রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তবে এ নির্বাচনে আ’লীগ অংশগ্রহণ করলেও এখনো অনিশ্চিত বিএনপির অংশ গ্রহণ বিষয়ে। ফলে নির্বাচনী মাঠে কোন দলের প্রার্থী আগামী ১০ মার্চের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে তাও রয়েছে ধয়াশা। তবে চারঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলেও প্রচার-প্রচারণায় সাড়া জাগিয়েছেণ তৃণমুল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফকরুল ইসলাম। বর্ধিত সভার মাধ্যমে তৃণমূলের একক প্রার্থী ঘোষনার পর থেকে ফকরুল ইসলাম ছুটে চলছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। চারঘাটের ভোটাররা এবার ফকরুলকে জনপ্রতিনিধি হিসাবে চাচ্ছে। প্রতিদিনই তিনি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে ছুটছেন ভোটারদের কাছে। বাড়ী বাড়ী গিয়ে চাইছেন ভোট।
ফকরুল ইসলামের গণসংযোগে আলোচিত পুরো চারঘাট জুড়েই। বুকে জড়িয়ে ধরে ভোটারদের কাছে টেনে নিয়ে চাইছেন নৌকা মার্কা প্রকীকে ভোট। সুযোগ চাইছেন জনগণের সেবা করার। জানা যায়, চারঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃণমুল আওয়ামী লীগের ভরসা হিসেবে বর্ধিত সভায় নেতাকর্মীরা একক ভাবে ফকরুল ইসলামের নাম উপস্থাপন করেন। তারই প্রেক্ষিতে চারঘাট-বাঘার তিন বারের সাংসদ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফকরুলকে দলীয় ভাবে একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
আওয়ামী লীগের সূত্র মতে, ফকরুল ইসলাম উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অতি বিচক্ষণতার সাথে দায়িত্ব পালনকালে দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন। দলের ভিতরে বিভেদ কাটিয়ে সকলকে একই মঞ্চে উপস্থিত করেছেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়মী লীগকে করেছেন সুসংগঠিত। দলের আপদে বিপদে সব সময় থেকেছেন দলের নেতাকর্মীদের পাশে। বুক দিয়ে আগলে রেখেছেন তৃণমুল আ’লীগকে। তাছাড়া তিনি পর পর দুই বার রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও এর কঠিন সময়ে এসে ফকরুল ইসলামের জীবনের মায়া না করে দায়িত্ব নেন চারঘাট উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের।
এর আগে বিএনপি-জামায়াতের ক্লিনহাট অপারেশনের সময় যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হয়ে নির্যাতন সহ্য করেও দলের দুর্দিনে নিজেকে দুরে সরিয়ে রাখেননি ফকরুল ইসলাম। ফলে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফকরুল ইসলাম ছাপড়াও দলীয় নেতাকর্ম ফকরুল ইসলামকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে প্রতিদিনই ছুটছেন ভোটারদের দুয়ারে। চাইছেন একটি বারের সুযোগ। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সাংসদ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আস্থা ভাজন হিসেবে ফকরুল ইসলামে নৌকা মার্কার প্রতীকে আগামী ১০ মার্চ ভোট বিপ্লব ঘটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান চেয়ারে বসাতে সকলকে কাধে কাধ মিলে কাজ করার আহ্বান জানান তৃণমুল আ’লীগের নেতাকর্মীরা।
চারঘাটে নতুন ভোটারদের তথ্যমতে, ইউসুফপুর ইউনিয়ন, ভায়ালক্ষীপুর, সদরদহ, চারঘাট পৌরসভা সহ প্রতিটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা ফকরুলকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে চাচ্ছে এলাকার উন্নয়নের জন্য। দলমত নির্বিশেষে জনসমর্থনে এগিয়ে ফকরুল। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি, যাচাই-বাছাই ১২ ফেবুয়ারি, প্রত্যাহার ১৯ ফেব্রুয়ারি এবং ভোট আগামী ১০ মার্চ।