বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর থেকে একটি মিছিল বের করেন শতাধিক শিক্ষার্থী, যারা সবাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেমবঞ্চিত সংঘের সদস্য।
মিছিলে সংগঠনের সদস্যরা ‘কেউ পাবে কেউ পাবে না, তা হবে না তা হবে না’, ‘নষ্ট প্রেমের খ্যাতাতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘প্রেমের নামে প্রহসন, বন্ধ কর, করতে হবে’- এমন নানা স্লোগানে পুরো ক্যাম্পাস মাতিয়ে তোলে। ক্যাম্পাস জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে টুকিটাকি চত্বরে প্রতিবাদী সমাবেশের মাধ্যমে পুনরায় একত্রিত হন প্রেমবঞ্চিতরা।
সমাবেশে প্রেমবঞ্চিত সংঘের নবনির্বাচিত সভাপতি মোল্লাহ মোহাম্মদ সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব বর্ণ সহ জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখেন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
“যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দেখা গেছে ৮৮ শতাংশ লোক সিঙ্গেল। এতে প্রমাণিত হয় একটা বড় অংশ প্রেমবঞ্চিত। তাই প্রেমের অধিকার বঞ্চিতদের দাবি আদায়ে আমরা বদ্ধ পরিকর।“ বলেন সভাপতি মোল্লাহ মোহাম্মদ সাঈদ।
এসময় তারা আমরণ অনশন কর্মসূচী শুরু করে।
অনশনরত এক প্রেমবঞ্চিত সাধন মুখার্জী প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,”আমরা প্রেমের প্রহসন মানি না।প্রেমের নামে এই যে ভণ্ডামি,প্রহসন হয় এবং ইবলিশ চত্বর, লাইব্রেরির পেছন থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসে প্রেমের নামে যে ভণ্ডামি হয় এবং একজন মানুষ যে একাধিক প্রেমের নামে কলুষিতা করে, এর বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, শুদ্ধ প্রেম হয় মন দিয়ে। প্রহসনের প্রেমকে আমরা আগুন দিয়ে পোড়াতে চাই। ১৪ ফেব্রুয়ারির “ভ্যালেন্টাইন ডে” শুধু যে একটি ছেলে আর মেয়ের ভালোবাসা দিবস হবে তা নয়।ভালোবাসা গরীব-দুঃখীদের জন্য হতে পারে,ভালোবাসা আমার মায়ের জন্য হতে পারে,পিতার জন্যেও হতে পারে। ভালোবাসা আসলে বিস্তৃত। কিন্তু এই যে প্রেমের নামে প্রহসন টা করি আমরা এই দিনে, এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে চাই। প্রেমবঞ্চিত মানেই একাকীত্ব না। প্রেমে বঞ্চিত হয়ে এই যে মানুষরা নেশাগ্রস্ত হচ্ছে,আত্মহত্যা করছে, তাদের জন্য একটা প্লাটফর্ম হচ্ছে এই প্রেমবঞ্চিত সংঘ। এখানে আসলে যে প্রেম হয় না, তা না। বরং এখানে এসেই প্রেমবঞ্চিতরা প্রেম করে যাচ্ছে।“
তিনি আরও জানান,”আমাদের গত কমিটির প্রেসিডেন্ট অনিক সরকার ভায়ের একটি সুন্দর মিষ্টি প্রেম হয়েছে। আনন্দঘন বিজয়মিছিলের মাধ্যমে তাকে সংঘটন থেকে বহিষ্কার করা হয়।আমি আগামীতেও এই আন্দোলন জারি রাখবো, যতক্ষন না পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি প্রেমিক প্রেম পাচ্ছে।“
আয়োজনের মধ্যে আরও ছিল কবিতা উৎসব, গণসাক্ষর কর্মসূচি ও দরিদ্র-পথশিশুদের আহার ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।