স্টাফ রিপোর্টার: কলেজে শিক্ষকতা করার জন্য সরকারী কলেজের শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পান। তারা শিক্ষক হওয়ার চেয়ে কর্মকর্তা হিসেবে থাকাই পছন্দ করেন ফলে তারা তদবির করে হোক বা অর্থের বিনিময়ে হোক শিক্ষা বোর্ডে প্রেষণে আসেন কর্মকর্তা হিসেবে। এতে করে তাদের নিজ নিজ পেশায় পারফরমেন্স যেমন দেখাতে ব্যার্থ হচ্ছেন অন্যদিকে শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব কর্মকর্তাদেরও তাদের নিজ নিজ পেশায় পারফরমেন্স বাধার সৃষ্টি করছেন। শুধু তাই নয়, প্রেষণের মেয়াদ ৩ (তিন) বছর হলেও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আনারুল হক প্রাং দীর্ঘ ০৯ (নয়) বছর যাবৎ রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে অবস্থান করছেন। বিদ্যালয় পরিদর্শক দেবাশিস রঞ্জন রায় প্রায় ০৫ (পাঁচ) বছর, সচিব প্রফেসর তরুন কুমার সরকার প্রায় ০৩ (তিন) বছর যাবৎ অধিষ্ঠিত আছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কালাম আজাদও প্রথমে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও পরে চেয়ারম্যান পদে প্রায় ০৫ (পাঁচ) বছর যাবত অধিষ্ঠিত আছেন।
শুধু তাই নয় প্রেষণে নিয়োজিত ব্যক্তিরা উচ্চত্বর পদ সমূহে ধারণ করার জন্য নিজেদের জন্য নিজেদের মধ্যেই অসুস্থ্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত আছেন। যেমন, চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ আবুল কালা আজাদের পারফরমেন্স বিতর্কিত হওয়ায় তাকে অপসারণ করে চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য সিচব প্রফেসর তরুন কুমার সরকার দীর্ঘদিন ধরে দেন দরবার করছেন। তিনি প্রায় সময়ই অফিসিয়াল কাজ দেখিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করেন। ০৯ (নয়) বছর প্রেষণে থাকা বর্তমান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোঃ আনারুল হক প্রাং চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে নেই। তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছেন সুপারিশের জন্য। প্রফেসর আবুল কালাম আজাদও তার অবস্থান ঠিক রাখার জন্য তিনিও প্রায় সময়ই ঢাকাতে অবস্থান করেন।
অন্যদিকে সচিব প্রফেসর তরুন কুমার সরকারের চাকুরীর মেয়াদ প্রায় শেষ দিকে হওয়ায়, তার স্থলভীশিক্ত হওয়ার জন্য বিদ্যালয় পরিদর্শক দেবাশীষ রঞ্জন রায় ও কলেজ পরিদর্শক মোঃ হাবিবুর রহমান প্রায় সময়ই দেনদরবারের জন্য ঢাকায় যাতায়াত করছেন। এতে করে তাদের দপ্তরের কাজ কর্মে স্থবরিতা ও বিভিন্ন বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এবং নথি পত্রের স্তুপ তৈরি হচ্ছে। এতে করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্নভাবে হয়রানী হচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেছেন, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্যতীত অন্য কোন পদ প্রেষণে পূরণের বিধান না থাকলেও কোন অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে এসব কর্মকর্তা বোর্ডে প্রেষণে আসেন। তাদের উদ্দেশ্যে মোটেই সুবিধাজনক নয়। এর একটি সুষ্ঠ সমাধান হওয়ায় উচিত।
তাদের কারনে সরকারী কলেজ সমূহ যেমন শিক্ষক স্বল্পতায় ভুগছে এবং নিয়মিত পাঠদান ব্যহত হচ্ছে তেমনি বোর্ডের নিজস্ব কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের কাজের স্বীকৃতি বা মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, এমনকি তাদের উত্তরোত্তর পরিফরমেন্স করার যোগ্যতা থাকলে মূল্যায়িত হচ্ছে না। তাই বোর্ডের কর্মকর্তারা চাচ্ছেন অবিলম্বে প্রেষণে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে প্রেরণ করে তদস্থলে বোর্ডের নিজস্ব বিধি বিধানের আলোকে ঐ সকল পদ সমূহ পূরণ করা হোক।