স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাটি। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরভবনে মেয়র দপ্তরে সাক্ষাৎকালে রাজশাহীর সকল উন্নয়নে ভারত পাশে থাকবে বলে জানান তিনি।
রাজশাহীতে নবনিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাটি নগরভবনে আসলে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর মেয়র দপ্তরকক্ষে এক মতবিনিময়ে মিলিত হন তাঁরা। মতবিনিময়কালে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী থেকে কলতাকা সরাসরি ট্রেন, বিমান ও নৌ যোগাযোগ চালুর ব্যাপারে তাঁর সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় মেয়র লিটন বলেন, চিকিৎসা, ব্যবসা ও দর্শনীয় স্থানসূমহে পরিদর্শনে বিপুল সংখ্যক মানুষ রাজশাহী থেকে ভারতে যান। কিন্তু রাজশাহী থেকে সরাসরি ট্রেন, বিমান ও নৌ যোগাযোগ নেই। আমরা চাই সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থার। পদ্মা নদীতে ইতোমধ্যে ড্রেজিং শুরু হয়েছে। নৌ পথেও কম সময়ে আমরা ভারতে যেতে পারি। ভিসা প্রক্রিয়া সহজকরণ ও বর্ডারে বাংলাদেশী মানুষের বিড়ম্বনা এড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান মেয়র।
এসব বিষয়ে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাটি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও বর্ডারে বিড়ম্বনা এড়াতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। কেবলমাত্র অসম্পূর্ণ আবেদন ও ভূয়া ডকুমেন্টের কারণে অনেক আবেদন বাতিল হয়। যদি ভিসা প্রাপ্তির আবেদন সঠিক ও পরিপূর্ণ হয়, তবে আটদিনের মধ্যেই ভিসা প্রদান করা হবে। মেডিকেল ভিসা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যতদ্রুত সম্ভব প্রদান করা হবে।
রাজশাহী থেকে কলকাতা সরাসরি ট্রেন, বিমান ও নৌ যোগাযোগের ব্যাপারে সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাটি বলেন, রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হলে, কম সময়ের মধ্যে যাওয়া-আসা যাবে। বিমান, ট্রেন ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ব্যাপারে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। এতে ভারত আগ্রহী। আশা করছি এটি আমরা করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহীর আরো ভালো ও বেশি পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠলে ভারত থেকেও এখানে পর্যটকেরা আসবেন। আমি ভারতীয় নাগরিকদের এখানে আসতে উৎসাহিত করবো। এ সময় রাজশাহীর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের ভূয়শী প্রশংসা করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার।
মতবিনিময় শেষে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারকে শুভেচ্ছা উপহার দেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় মেয়রকেও উপহার দেন সহকারী হাইকমিশনারও। পরে নগর ভবনের বঙ্গবন্ধু কর্ণার পরিদর্শন করে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার। মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন তাকে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ঘুরে দেখান। পরিদর্শন শেষে মন্তব্য বইয়ে মন্তব্য লিখেন সহকারী হাইকমিশনার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর শাহাদত আলী শাহু, শহিদুল ইসলাম, তৌহিদুল হক সুমন, আব্দুল মোমিন, রবিউল ইসলাম, আয়েশা খাতুন, মাজেদা বেগম, উম্মে সালমা, নাদিরা বেগম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাওগাতুল আলম, সচিব রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকতা শাহানা আখতার জাহান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এএফএম আঞ্জুমান আরা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন প্রমুখ।