বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে সাহার মেমোরিয়াল ডিসঅ্যাবল স্কুল এন্ড কেয়ার সেন্টার নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে ২০১৪ সালে। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় সৃজনী সমাজ কল্যান সংস্থা। এখানে প্রতিবন্ধীদের নানা ধরনের শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি চন্ডিপুর গ্রামের সেকেন্দার আলী(৬৫), পরিচালক চন্ডিপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা(৩৫),প্রধান শিক্ষিকা সেকেন্দার আলীর মেয়ে সেলিনা আক্তার(৩০) এবং দাতা সদস্য সেকেন্দার আলীর ভাই আলহাজ্ব মোসলেম আলী।
সুতরাং উক্ত প্রতিষ্ঠানটি একটি পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যার ফলে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রায় সকল ক্ষেত্রে অনিয়ম রয়েছে বলে অভিযোগ করেন রুইয়া গ্রামের অভিযোগ কারি সাজ্জাদ (২২)হোসেন এর বাবা সাহেব আলী(৩৬)। এবং গত ১/৪/১৯ ইং তারিখে চাকুরী দেওয়ার নামে ১লক্ষ টাকা আত্নসাৎ এর অভিযোগ করেন রুইয়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর।
সেখানে সাজ্জাদ উল্লেখ করেন যে, বিবাদী গোলাম মোস্তফা দ্বারা পরিচালিত সাহার মেমোরিয়াল ডিসঅ্যাবল স্কুল এন্ড কেয়ার সেন্টার, চন্ডিপুর, বাগমারা, রাজশাহী প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী বহনের ভ্যানচালক পদে চাকুরী প্রাপ্তির আশায় বিগত দুই বছর পূর্বে ১লক্ষ টাকা প্রদান করি।সেখানে আমি দীর্ঘ ১ বছর ছাত্র-ছাত্রী বহনের ভ্যান চালায়। বেতনের জন্য একাধিক বার বলা হলেও আমাকে কোন প্রকার বেতন ভাতাদি প্রদান করেন নাই।এহেন কারনাধীনে আমি মানবেতর জীবন যাপন করছি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক পরিস্থিতি ভাল না হওয়ার কারনে ছাত্র-ছাত্রী ও কমে গেছে।সে কারনে আমি ১বছর পূর্বে চাকুরী হতে অব্যাহতি গ্রহন করি। কিন্তুু আমাকে ডোনেশনের ১লক্ষ টাকা এখনও ফেরত প্রদান করেন নাই।এ রকম আরও অনেক ব্যক্তির নিকট হতে চাকুরী দেবে বলে টাকা গ্রহন করে আত্নসাৎ করেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি ভাল নয়।যে কোন সময় প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান।
এ বিষয়ে পরিচালক গোলাম মোস্তফার সাথে সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি জুরুরী কাজে ঢাকায় আসছি, বাসাই আসলে তাদের টাকা দিয়ে দিবো, এবিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি অতি দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।