বাঘা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘায় গুপ্তধন পাওয়ার খবরে দিনব্যাপি ছিল আলোচনা ঝড়। চাঞ্চল্যকর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাসহ পাশর্^বর্তী গ্রামের মানুষের ভিড় জমে। বিশেষ করে বিকেল পর্যন্ত সেখানে আনাগোনা ছিল উৎসুক জনতার ।
সরেজমিন মঙ্গলবার (২-১০-১৮) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঘটনাস্থল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নাটোরের লালপুর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের বিলকিস,মুনজুরা,আইনাল,বাঘা উপজেলার পাশের গ্রাম তেথুলিয়ার বেলালসহ এলাকার লোকজন গুপ্তধন পাওয়ার খবরে ছুটে আসেন সেখানে।
এদিকে গুপ্তধন মনে করে বিষয়টি বাঘা থানা পুলিশকে মুঠোফোনে জানান এলাকাবাসি। থানা পুলিশের একটি টিম মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার শ’ শ’ নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে সাড়ে চারফুট মাটি খনন করেও গুপ্তধনতো দুরের কথা কোনো জিনিসই পাননি। সেই সঙ্গে আদৌ সেখানে কোনো গুপ্তধন আছে কিনা তাও নিশ্চিত হতে পারছিলেন না সংশ্লিষ্টরা। তবে আগরবাতি, টিস্যু ও গেঞ্জির ছেঁড়া অংশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি ছিল রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের পীরগাছা গ্রামে। এই গ্রামের আড়ানি মাদ্রাসার শতবর্ষী আমবাগানের দক্ষিন পার্শে গুপ্তধন পাওয়ার এ খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। এলাকার বজলু ও হেলেনা জানান, ওইখানে মাটি খুঁড়ে কোন তোলার পর আবার মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়। মাঠে যাতায়াতকারি লোকজন বিষয়টি দেখার পর গুপ্ত ধন কিংবা কাউকে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে এমন খবরটি আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার বয়স্কদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, সেখানে দামি কোন কষ্টিপাথর ছিল। আবার কেউ কেউ ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলেও অনুমানও করতে পারছেন না,সেখানে কি থাকতে পারে। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী জানান,খবর পেয়ে দুইজন অফিসারসহ ফোর্স সেখানে পাঠিয়েছিলেন। জনসন্মুখে মাটি খুঁড়ে কিছু পাওয়া যায়নি। আগে পাওয়ার মতোও কোন আলামত মেলেনি।