স্বদেশবাণী ডেস্ক: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় ডাকাতি করতে গিয়ে চার নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৫ আসামিকে দুই মেয়াদে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আব্দুল হান্নান মেম্বার নামে এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঈন উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মিজান মাতুব্বর ওরফে শহিদুল ইসলাম (৪৫), আবু সামা (৩৭), মহিদুল ইসলাম মুন্সি ওরফে রুবেল (৩১), জহিরুল ইসলাম ওরফে জহিরুল হাওলাদার (২৪), ইলিয়াছ শেখ ওরফে সুমন (৩৬)। এদের মধ্যে ইলিয়াছ শেখ পলাতক থাকলেও বাকিরা কারাগারে আছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম সেন্টু যুগান্তরকে বলেন, ডাকাতি ও ধর্ষণের দুটি পৃথক ধারায় ৫ আসামির প্রত্যেককে দুই মেয়াদে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডাকাতির অভিযোগে ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। গণধর্ষণের ধারায় একই আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নে এক প্রবাসীর বাড়ির গ্রিল কেটে ডাকাত দল প্রবেশ করে। ডাকাত সদস্যরা ওই ঘরের চার নারীকে গণধর্ষণ করে মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রহমত উল্লাহ নামে ভিকটিমের এক আত্মীয় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলা তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সংস্থাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩০ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এ মামলায় ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার আদালত এ রায় প্রদান করেন