স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের প্রস্তুতি ও সমস্যা তুলে ধরে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংগঠনটির রাজশাহীর নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন জানান, ৩বার স্থান পরিবর্তন করে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন ১২টি শর্ত জুড়ে দিয়ে আগামী কাল শুক্রবার রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টেকে সমাবেশ করতে অনুমতি দিয়েছে। এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, সমাবেশের প্রচারে মাইকিং করতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও মাদরাসা মাঠে মঞ্চ তৈরী করতেও নানা ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সংবাদ সমাবেশকে সামনে রেখে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সমাবেশের প্রচারে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে।
আর এ কাজে সহযোগীতা করছে প্রশাসনের কতিপয় অতিউৎসাহী কর্মকর্তা। সমাবেশে যাতে জনসমাগম না হয় সে জন্য রাজশাহীতে বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সিলেটে ও চিটাগাংয়ের সমাবেশের আগেও ঠিক একই পথ অবলম্বন করা হয়েছিল। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর সমাবেশ স্থলে গণজমায়েত হবে।
এই সমাবেশে ড. কামাল ও মির্জা ফখরুল সহ ব্যরিস্টার মওদুদ, মোশারফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আব্দুর রব, মান্ন, ওলি আহমেদ, ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, গয়েশ্বর রায়, মইন খানসহ কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। রাজশাহীর মাটি পবিত্র, পূর্বের প্রতিটি আন্দোলনে রাজশাহীর মানুষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
রাজশাহীর মানুষকে সাথে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যদিয়ে এই সরকারকে বিতাড়িত করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন সহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এদিকে স্থানীয় সিটিএসবি এর পক্ষ থেকে জানাহ হয়েছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে মাদরাসা মাঠে সমাবেশের জন্য যে ১২টি শর্ত দেয়া হয়েছে তা নতুন কিছু নয়। জননিরাপত্তা ও জনদুর্ভোগ লাঘবের স্বার্থে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যে কোন সমাবেশ করতে অনুমতি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এধরণের শর্ত দেয়া হয়ে থাকে।