ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে শুক্রবার (১২ আগস্ট) স্বামীর নির্যাতনে সীমা নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা চেষ্টা করেছে। অতঃপর , আহত অবস্থায় তাকে শনিবার (১৩ আগস্ট) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের ভেলাতৈড় গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী শফিকুল ইসলামের মেয়ে সীমা আক্তারের সাথে আনুমানিক ৬/৭ মাস আগে একই গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে সাগর ইসলামের সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ের পরেই স্বামী সাগর স্ত্রী সীমা আক্তার কে প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে শুরু করে।
শুক্রবার (১২ই আগস্ট) সীমাকে নিয়ে সাগর শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেই দিন সাগর তার ভাই পুলিশ কনেষ্টবলের ফোনে কথা বলে। রাতে সীমাকে মারপিট করে। আনুমানিক পরদিন শনিবার সকাল ৭টায় সীমার বাপের বাড়ী থেকে পালিয়ে যায় সাগর এবং পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দেয়।
এ বিষয়ে সীমা তার স্বামীকে না পেয়ে তার স্বামী সাগরের বাড়িতে যায়। সেখানে সাগরের পরিবারের লোকজন সীমাকে মারপিট করে বাসা থেকে বের করে দেন।
পরে সীমা কোন উপায় না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বাবা শফিকুল ইসলাম দেখে ফেলে। সেই সাথে সীমাকে আত্মহত্যা থেকে বাঁচায়।
পরে স্থানীয় লোকজন সহ সফিকুল ইসলাম মেয়ে সীমাকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।বর্তমানে সীমা হাসপাতালে ব্যাথায় কাতরাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে সীমার কাছে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে সীমা বলেন, আমার স্বামী সাগর ইসলাম আমাকে মারপিট করে পালিয়ে গেছে। আমাকে বিয়ে করে তার বংশ মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে বলে আমাকে কৌশলে তাড়ানোর চেষ্টা করছে।আমি তার উচিত বিচার চাই।
সীমার বাবা শফিকুল বলেন, মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
স্ব.বা/ম