বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় এক বছর পুর্বে ঘটে যাওয়া বহুল আলোচিত শর্মিঠা রানী আতœহত্যা প্ররোচনা মামলার তদন্তে নেমেছে-পি.বি.আই। তবে এই মাঝে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছে এ মামলার প্রধান আসামী শর্মিঠার দেবর সোমেন শাহা ।
অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, গত বছরের ২৮ নভেম্বর বাঘা উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক শ্রী সুকান্ত সাহা (৩২)এর ঘরে গলাই উড়না বেধে আতœহত্যা করে তার স্ত্রী শর্মিঠা রানী। এ ঘটনার এক মাস ১০ দিন পর তিনজনকে আসামী করে আদালতে আতœহত্যার পরোচনা মামলা দায়ের করেন শর্মিঠার পিতা শ্রী সুনীল কুমার সাহা। মামলার দু’মাস পর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শরীলের দিন জায়গায় আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়। ফলে বিষয়টি আমলে নিয়ে বাঘা থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু থানা পুলিশ রহস্যজনক কারনে এ মামলা বাদির পক্ষে চুড়ান্ত রিপোর্ট না দিয়ে আসামীদের পক্ষে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন।
এরপর শুরু হয় আন্দোলন। রাজশাহী শহরে শর্মিঠার পক্ষে মানব বন্ধন থেকে শুরু করে সমাবেশ করে বিভিন্ন মহল। এ নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ ছাপা হয়। এই মাঝে মহামান্য আদালতে থানা থেকে পাঠানো প্রতিবেদনের বিপক্ষে না রাজি আবেদন করেন শর্মিঠার পিতা। ফলে আদালত থেকে মামলাটি পুন:রায় তদন্তের ভার দেয়া হয় পি.বি.আই-কে। এরই মাঝে প্রবাসে পাড়ি জমায় এ মামলার দ্বিতীয় আসামী সোমেন সাহা।
শর্মিঠার ভাই সুভ্রত তার বোনের শরীলে দাগ থাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার দিন বাড়িতে কেও না থাকার সুবাদে সোমেন শা (দেবর) তার বোন শর্মিঠাকে ক্ষতিকরার চেষ্টা করে । আর এ লজ্জায় শর্মিঠা আতœহত্যা করে জীবনের জালা মিটায়। এর কিছুদিন না যেতে দ্রুত প্রবাসে পাড়ি জমায় মামলার প্রধান আসামী সোমেন শাহ্।
এ মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা (পি.বি.আই) ইনেস্পেক্টর ফাছির উদ্দিন জানান, কোন মানুষ আপনা-আপনি আতœহত্যার পথ বেছে নেয়না। এর পেছনে যে কোন করণ থাকে। তিনি সেই কারণ তথা রহস্য বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত দুই বছর পূর্বে বাঘা উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্রী অজিত সাহার ছেলে স্কুল শিক্ষক শ্রী সুকান্ত সাহার সাথে রাজশাহী শহরের বাসিন্দা শ্রী সুনীল কুমার সাহার কলেজ (মাস্টার্স) পড়–য়া মেয়ে শর্মিঠার বিয়ে হয়। এই বিয়ের পর থেকে শাশুড়ী এবং দেবরের কারনে পারিবারিক কোলহে ভুগছিল তার মেয়ে। এ ছাড়াও সুকান্ত যে স্কুলে চাকরি করে সেই প্রতিষ্ঠানে তার ছোট ভাই সোমেন সাহাকে বাদ দিয়ে শশুরের টাকায় শর্মিঠাকে কম্পিউটার বিষয়ে চাকরিতে সুযোগ করে দেওয়ায় পরিবারের মধ্যে অশান্তি বিরাজ করছিল। এই অশান্তিই এক সময় কালহয় শর্মিঠার জীবন।