নিউ জিল্যান্ডের আদলে উইকেট তৈরিতে বিশেষজ্ঞ উড়িয়ে আনছে বিসিবি

খেলাধুলা

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: গত আগস্টে বোর্ড মিটিং শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ঘোষণা দিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনুশীলনের ব্যবস্থা আধুনিকায়নের কথা। পাপন তখন বিশেষ করে নিউ জিল্যান্ডের নাম বলেছিলেন। প্রায় দেড় মাস পর এসব বাস্তাবায়নের পথে হাঁটছে বোর্ড।

নিউ জিল্যান্ডের আদলের উইকেট তৈরি, সব মৌসুমেই অনুশীলনের ব্যবস্থার জন্য সে দেশ থেকেই টার্ফ বিশেষজ্ঞ আয়ান জোসেফ ম্যাকেঞ্জিকে উড়িয়ে আনছে ক্রিকেট বোর্ড। কিউই বোর্ডের হেড অব টার্ফ ম্যানেজম্যান্টের দায়িত্বে থাকা ম্যাকেঞ্জির আজ ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার আবদুল বাতেন সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন। মিরপুর শের-ই বাংলায় দুপুরে নিউ জিল্যান্ডের পিচ বিশেষজ্ঞর কথা নিশ্চিত করে বাতেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সাথে কথা বলে তাদের হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট আয়ান জোসেফ ম্যাকেঞ্জিকে আনার ব্যবস্থা করেছে। সে খুব অভিজ্ঞ একজন, নিউ জিল্যান্ডের প্রতিটি মাঠ সে তদারকি করে। জ্ঞানের দিক থেকে সে খুবই ভালো।’

ম্যাকেঞ্জিকে আনার কারণ ব্যখা করেছেন বাতেন। নিউ জিল্যান্ডের আদলে উইকেট তৈরিতে তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বোর্ড। ‘উনাকে এনেছি কারণ নিউ জিল্যান্ড যে ধরণের উইকেট ও আউটফিল্ড তৈরি করে এ সমস্ত কিছুর সাথে আমরা যে পদ্ধতি অবলম্বন করি এটার সাথে আমরা তুলনা করবো। মাঠগুলো পরিদর্শনের মাধ্যমে উনার বাস্তবিক একটা অভিজ্ঞতা হবে। নিউ জিল্যান্ডে উইকেট কীভাবে তৈরি হয় সেটা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পারবো।’

ম্যাকেঞ্জি এসেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-সিলেটের ভেন্যুগুলো ঘুরে দেখবেন। এ ছাড়া দেশের সব বিভাগের পিচ কিউরেটরদের নিয়ে একটি ওয়ার্কশপে প্রশিক্ষণ দেবেন। দুই দিনব্যাপি এই ওয়ার্কশপ হওয়ার কথা রয়েছে ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর।

বাতেন বলেন, ‘প্রথমে আমরা উনাদের ভেন্যুগুলো ঘুরিয়ে দেখাবো। কালকে আমরা যাব চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, তারপর সেখান থেকে চলে যাব কক্সবাজার। ২১ তারিখ আমরা কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফিরব। ২২ তারিখ সিলেট পরিদর্শনে যাবে। সেখান থেকে ফিরে…আমাদের মূলত যে কোর্স, ওয়ার্কশপ সেটা ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর।’

দেশে একমাত্র বগুড়ার উইকেটই হলো পেস সহায়ক। কিন্তু এখানে দীর্ঘদিন ধরে কোনো আন্তর্জাতিক খেলা হয় না। সবকিছু মিরপুর কেন্দ্রিক হওয়াতে সেখানে অনুশীলনও করেন না ক্রিকেটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে সবশেষ ক্যাম্প হয়েছিল। এবার সবজায়গাতেই এমন উইকেটে অনুশীলনের ব্যবস্থা করতে চাইছে বোর্ড।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *