নাটোরে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যেই গোপনে কমিটি গঠনের অভিযোগ!

রাজশাহী
নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পরও একটি পক্ষ গোপনে অবৈধ পন্থায় কমিটি করে কেন্দ্র থেকে অনুমোদন এনে প্রচার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের একটি অংশ এই কমিটি ঘোষনার খবর পাওয়ার পর রোববার রাতে এক প্রতিবাদ সভা করেন এবং অবৈধ পন্থায় গঠন করা ওই কমিটিকে পকেট কমিটি উল্লেখ করে বাতিল করে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কমিটি গঠনের আহ্বান জানান। উপজেলার পেড়াবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুজ্জামান, নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও সাবেক সভাপতি শাহাদৎ হোসেন, যোগিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক রোকসানা খাতুন, সভাপতি পদ প্রার্থী রবিউল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল আওয়াল, সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পন্থায় একটি কমিটি গঠনের জন্য ইতোমধ্যে তপসিল গঠন করে মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমাদান সম্পন্ন হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে আগামী ২২ ডিসেম্বর প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য সকল শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ ভোট গ্রহণ করা হবে। এই নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন সুযোগ সন্ধানী ও জনবিচ্ছিন্ন কিছু শিক্ষক ভোটে অংশ না নিয়ে ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবিতে মিটিং করার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে স্বাক্ষর নিয়ে ঢাকায় যায়। তারা কেন্দ্রিয় কমিটিকে ওই স্বাক্ষর দেখিয়ে একটি কমিটি করে তা  অনুমোদন করিয়ে আনে। গোপনে ও অবৈধ পন্থায় আনা ওই কমিটির পরিচিতি সভার অপচেষ্টা করছে। তাদের এই চেষ্টা সাবেক, বর্তমান ও প্রতিদ্বন্দ্বি কোন শিক্ষক নেতাই এই কমিটি মানেন না। অবৈধ ওই কমিটি বাতিল করে ২২ তারিখের নিবার্চনে অংশ নিতে তাদের প্রতি আহবান জানান শিক্ষকদের ওই অংশ। বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকেও যথাযথ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করার আহবান জানান নিবার্চন কমিশনের সদস্যসহ নির্বাচনের পক্ষের শিক্ষকরা।
এবিষয়ে ঘোষিত কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কিছু জানাতে এবং কথা বলতে রাজি নয় বলে লাইন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।
এবিষয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ড.সাবরিনা আনাম জানান,তিনি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেননা। এটি পেশাজীবি সংগঠনের নিজস্ব ব্যাপার। তবুও  কেউ না জানালে আমরা জানতে পারিনা।
স্ব.বা/রু
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *