রাজশাহীতে ফের আলোচনায় আসাদ

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদকে নিয়ে ফের শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা, জনমনেও দেখা দিয়েছে মিশ্রুপ্রতিক্রিয়া। জানা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারী রোববার রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্ত্ত আসাদকে জনসভার মঞ্চে উঠতে দেয়া হয়নি।
এতে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে মাওড়ার মতো আসাদ মঞ্চের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী ওই মঞ্চে আসাদকে ডেকে নিয়ে কথা বলেছেন মুলত সেটা নিয়েই রাজনৈতিক অঙ্গনে নেতাকর্মীদের মধ্য আসাদুজ্জামান আসাদকে নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার শুরু।
প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসাদকে ডেকে নিয়ে কি বলেছেন, সাংসদদের সঙ্গে মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কথা, না দলীয় এমপিকে নিয়ে কটুক্তি করায় সতর্ক না বাক্ষ্যা চেয়েছেন, না কি ভৎসনা করেছেন, না কি বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকাবিরোধীতার বাক্ষ্যা চেয়েছেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এবিষয়ে আসাদুজ্জামান আসাদ মিডিয়ায়  কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে না দেয়ায় বিষয়টি নেতাকর্মীরা নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
অন্যদিকে স্থানীয় সচেতন মহলের ভাষ্য, মঞ্চে আসাদুজ্জামান আসাদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রীর যে শারীরিক ভাষা লক্ষ্য করা গেছে, তাতে তাদের মনে করেন তিনি আসাদকে কড়া বার্তায় দিয়েছেন। কারণ ইতিবাচক বা ভাল কিছু বলে গেলে আসাদের সমর্থকেরা সেটা নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা করতেন এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই। এবিষয়ে আসাদুজ্জামান আসাদ বা তার সমর্থকের মুখে কুলুপ এটে থাকায় আসাদকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে,গত ২৯ জানুয়ারী রোববার ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে রাজশাহীর জনসভা মঞ্চে উঠতে না পেরে সভামঞ্চের বাইরে মাউড়ার মতো দাঁড়িয়ে জনসভা শুনছিলেন আসাদুজ্জামান আসাদসহ কয়েকজন  আওয়ামীলীগ নেতা। তবে, জনসভা মঞ্চে ওঠার পর নেতাদের মাধ্যমে আসাদকে মঞ্চে ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে আসাদ সেখানে উপস্থিত হলে প্রধানমন্ত্রী ভাষন শেষে তার সঙ্গে কথা বলেন। মঞ্চে ডেকে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আসাদ। প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো তার একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে আসাদুজ্জামান লিখেছেন ‘কৃতজ্ঞতা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা আপা’।
তবে আসাদুজ্জামান আসাদের সঙ্গে কি কথা হয়েছে সেই বিষয়ে সাংবাদিকদের  কাছে কোন কথা বলতে চাননি তিনি। কী কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী তাও বলতে চান নি। জানার জন্য তাকে ফোন করা হলে আসাদ বলেন, আমাকে আপা মঞ্চে না দেখতে পেয়ে ডেকে নিয়েছেন এজন্য আমি আপার কাছে কৃতজ্ঞ।
এদিকে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জেলা ও উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন (ইউপি) নির্বাচনসহ বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিরোধী এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে অনেক আগেই সম্পাদকের পদ হারিয়ে অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়ে আলোচনায় এসেছিল আসাদ। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে কটুক্তি করে আলোচনায় আসে আসাদ। তিনি বলেন, এসব বিবেচনায় তার কাছে মনে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসাদুজ্জামান আসাদকে ডেকে সতর্ক বার্তা দিয়ে গেছেন।
এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও  সাবেক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের কোনো বক্তব্যে নেয়া সম্ভব হয়নি।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *