স্বদেশ বাণী ডেস্ক: বয়সের ভারে ন্যুব্জ আবদুল কাদির বখশ। জীবনের পড়ন্ত বেলায়ও পিছু ছাড়েনি অভাব-অনটন। তাই পেটের তাগিদে ছাগল চরানোর কাজ করেন পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের এই বাসিন্দা।
শত দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও পেশায় রাখাল ৮২ বছর বয়সির অন্তর ছিল আল্লাহর ভালোবাসায় পূর্ণ। চরম অসহায়ত্ব ও দারিদ্র্যের মধ্যেও মনে স্বপ্ন ছিল পবিত্র ওমরাহ পালনের। আর তাই দীর্ঘ ১৫ বছর ছাগল চরিয়ে এবং সেখান থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ওমরাহ পালনের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি। খবর আরব নিউজের।
ওমরাহ পালনের পর তার হৃদয় এখন সন্তুষ্ট ও পরিতৃপ্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে ৮২ বছর বয়সি আবদুল কাদির। গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।
সংবাদমাধ্যম বলছে, চরম অসহায়ত্বের মধ্যেও আব্দুল কাদির বখশের মনে আকাঙ্ক্ষা ছিল পবিত্র কাবাঘর ও মহানবী (সা)-এর রওজা শরিফ দেখার। আর তাই সেই স্বপ্নপূরণে যতটুকু সম্ভব সঞ্চয়ও শুরু করেন তিনি। পরিমাণে সামান্য হলেও সঞ্চয়ের সেই ধারা অব্যাহত রাখেন তিনি।
অতঃপর ছাগল পালন ও চরিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছরের জমানো অর্থে আব্দুল কাদির পবিত্র ওমরাহ পালন করেন। ওমরাহ পালনের সময় মক্কায় তার সঙ্গে কোনো গাইডের ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি বেলুচি ছাড়া অন্য কোনো ভাষাও জানেন না তিনি। কিন্তু মহান রব তার সব প্রার্থনা কবুল করেছেন বলে জানান এই বৃদ্ধ।
ওমরাহ শেষ করে গত শনিবার নিজ গ্রাম গোথ হাজি রহিম গ্রামে ফিরে যান বখশ। গাছের পাতা ও ঘাস দিয়ে তৈরি ঝুপড়িতে সেই সময় তাকে অভিনন্দন জানান পরিচিতজনরা। কারণ আব্দুল কাদির যা করেছেন বেলুচিস্তানের অনেকের জন্য তা এখনো স্বপ্ন।
আব্দুল কাদির বখশ বলছেন, তার সব দোয়া কবুল হয়েছে। ওমরাহ থেকে ফেরার পর আবদুল কাদির বখশ ভবিষ্যতে হজ পালনের জন্য অর্থ সঞ্চয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কারণ হজ করাই তার সবচেয়ে বড় ইচ্ছা।
স্ব.বা/বা