স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনায় প্রায় ৩০ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় সাকিব আঞ্জুম নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সোমবার দুপুরে নগরীর আলুপট্টি এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়৷
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএমও ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, আজকে ৫০ জনকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ তাদের মধ্যে ৩০জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়৷
এরপর দুপুরে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের সংবাদ প্রচার হলে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বিজয় উল্লাস করতে থাকে আন্দোলনকারী সহ সাধারণ মানুষ। উল্লাস করতে রাস্তায় নেমে আসে নারী পুরুষ সহ আপামর জনসাধারণ। দুপুরের পর থেকেই রাজশাহীর বিভিন্ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বাসভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চেম্বার অফিসে ভাংচুর করে এবং আগুন দেই বিক্ষুব্ধরা।
বিকেলে নগর ভবনের নিচে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মেয়রের চেম্বার সহ কয়েকটি ফ্লোর দাও দাও করে জ্বলতে থাকে। প্রায় আধা ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
নগর ভবনে দাও দাও করে আগুন জলতে থাকে এসময় বিভিন্ন সাইডে হাজার হাজার উৎসুক জনতা দৃশ্য দেখলেও আগুন নেভাতে কেউ এগিয়ে আসেনি। এসময় অনেকে নগর ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে কম্পিউটার, লাপটপ, আলমারি সহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সেনাবাহিনীর টহল দল কয়েকবার নগর ভবনের রাস্তায় টহল দিলেও কাউকে নিভৃত করতে দেখা যায়নি। সন্ধ্যায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের দল আগুন নেভাতে কাজ করে। তখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তখনও সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন মালামাল লুট করতে থাকে সুযোগ সন্ধানীরা।
মেয়র লিটনের উপশহরের বাসভবন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের চেম্বার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যুবলীগের সাবেক সভাপতি, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ কয়েকজন কাউন্সিলরের বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাই বিক্ষুব্ধরা। আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে গা ঢাকা দিয়েছে বলে যানা গেছে।