সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে নৌপুলিশের সদস্য শামচুল আলম মদ্যপ অবস্থায় জনৈক নারীর ঘরে প্রবেশ করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রধান কার্যালয়ে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
চৌহালী নৌপুলিশের অফিসার ইনচার্জ বাবর আলী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ, ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, যমুনা নদী বেষ্টিত চৌহালী উপজেলায় ২০১৮ সালে নৌপুলিশের অস্থায়ী ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। গত ৭-৮ মাস আগে শামচুল আলম নৌপুলিশের সদস্য হিসেবে চৌহালীতে যোগদান করেন।
শুক্রবার গভীর রাতে নৌপুলিশের সদস্য শামচুল আলম পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে চৌদ্দরশি গ্রামের হতদরিদ্র জনৈক নারীর বাড়িতে অনৈতিক উদ্দেশে যায়। পরে সুযোগ বুঝে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করলে বাড়ির লোকজন ওই নারীর চেঁচামেচির শব্দ পায়।
এ সময় বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে ঘরের মধ্যে হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। রাতেই ফাঁড়ির কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় বিচার দেয়ার আশ্বাস দিয়ে নিয়ে যায়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে শনিবার ভোরে ঢাকা মিরপুর নৌপুলিশের প্রধান কার্যালয়ে তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে বরখাস্ত হওয়া নৌপুলিশ সদস্য শামচুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে চৌহালী নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাবর আলী যুগান্তরকে জানান, শামচুল মাদকাসক্ত ছিল। এর আগে মাদক সেবনসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে টাঙ্গাইল থেকে তাকে চৌহালীতে বদলি করা হয়েছিল। শুক্রবার রাতের ঘটনায় শামচুলকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রত্যাহার করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর।
স্ব.বা/শা