পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করতে গিয়ে সাকিবুল (১৮) নামে এক যুবক আটক হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে।
মঙ্গলবার বিকেলে অষ্টমনিষা বাজারে মর্ডান কোচিং সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আটক যুবক চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছি ইউনিয়নের পৈলানপুর গ্রামের শহিদুল জোয়ার্দারের ছেলে। ভুক্তভোগী ছাত্রী অষ্টমনিষা ইউনিয়নের মৌহাট গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে জুলি খাতুন। সে রূপসী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্রী।
ভাঙ্গুড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান জানান, ওই ছাত্রী দুপুরে স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে কোচিং করতে গিয়েছিল। ক্লাস শেষে বিকেলে সে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
এদিকে আগে থেকেই সিএনজি চালিত একটি অটোরিকসা নিয়ে ওঁৎপেতে ছিল সাকিবুল। সে জুলিকে জোর করে অটোরিকসায় তোলার চেষ্টা করে।
এসময় জুলিকে টানাহেচড়ার সময় সে চিৎকার দিলে স্থানীয় জনতা এসে তাকে উদ্ধার করে। তারা সাকিবুলকে আটক করে গণধোলাই দেয় এবং ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশকে জানায়। ঘটনা আঁচ করতে পেরে অটোরিকশোচালক পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানার এসআই কামরুজ্জামান ও এএসআই সাজেদুল ঘটনাস্থল থেকে সাকিবুলকে আটক করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী স্থানীয়দের জানান, সাকিবুল দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসার-যাওয়া পথে তাকে উত্যক্ত করে আসছিল। কিন্তু অপহরণ করার মত ঘটনা ঘটাবে এটা সে ভাবতে পারেনি।
হাসিনা মোমিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক বলেন, শিক্ষার্থীকে অটোরিকশার তুলে নেয়ার সময় ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে স্থানীয় জনতা বখাটে সাকিবুলকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে সাকিবুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি জানান, সাকিবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই ছাত্রীর পক্ষে কেউ মামলা করেনি বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা