রাজশাহী শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের উপর বহিরাগতদের হামলা, আহত ১০

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: ‍নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া রাজশাহীর বেসরকারী শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের লোকজনের মারধরে অন্তত ১০ জন ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান, তাহসিন, ফাউজিয়া, সুস্মিতা, জেবা, বিতিসা, নিশাত, মেধা ও শাব্বির। এদের সবাইকে হাসপাতালের ১ নং সহ অন্য ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা বগুড়া ও দিনাজপুরসহ আশেপাশের জেলার বাসিন্দা।

এ তথ্য নিশ্চিত করে শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ৩য় ব্যাচের ছাত্র মেহেদী হাসান, নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে কিছুদিন আগে শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে দেয়া হয়। আহতরা সবাই মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে থাকতেন। মাইগ্রেশন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা কলেজের আশেপাশে বন্ধুদের বাড়িতে থাকতেন। শনিবার সকালে কলেজে পুনরায় ভিজিটিং হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ভিজিটিং এর ব্যবস্থা করেন। এ উপলক্ষে বাড়িতে থাকা ও আশেপাশে থাকা সহপাঠিরা আসছে। এ ছাড়াও শীত শুরু হওয়ায় তারা হোস্টেলে শীতের পোশাক নিতে যাওয়ার জন্য প্রবেশ করে। এ সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লোকজন দিয়ে অতর্কিতভাবে

বাঁশ দিয়ে মারধর শুরু করে। ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই রক্তাক্ত হয়ে জখম হয়। স্থানীয় মানুষজন পুলিশকে খবর দিলে খবর পেয়ে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এছাড়াও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রামেক হাসপাতালে আহতদের ভর্তি করা হয়। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, মেডিকেল কর্তৃপক্ষ আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তেলেসমাতি করে আবার উল্টো আমাদেরকেই মারধর করেছে। আমাদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।

রাজশাহীর শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীন বলেন, শনিবার একটি ভিজিট রয়েছে। সেই ভিজিট পণ্ড করার জন্য ছাত্রছাত্রীরা একত্র হয়ে কলেজে প্রবেশ করে। কলেজে প্রবেশে বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়।

রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এএসআই রুহুল আমিন বলেন, বেসরকারী শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ থেকে আহত হয়ে ১০/১২ জন এসেছে। তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনা কি তা তাৎক্ষণিক জানতে পারিনি।

আরএমপির চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সিরাজুম মনির বলেন, মেডিকেল কলেজে মারামারি খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। থানায় অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত মাসে বিধি লঙ্গনের দায়ে রাজশাহীর শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

 

 

স্ব.বা/না

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *