তানোরে অবৈধ আল আমিন বিস্কুট ফেক্টরীর রমরমা ব্যবসা

রাজশাহী

তানোর প্রতিনিধি: আল আমিন নামের বিস্কুট ফেক্টরী নানা ক্ষতিকারক কেমিকেল ও নোংরা পরিবেশে পণ্য তৈরি করে রমরমা ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা বলে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ। বিস্কট কেক, পাউরুটিসহ নানা জাতীয় খাদ্যপণ্য তৈরী করে দেদারসে বাজার জাত করে আসছেন। রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন(ইউপির) চৌবাড়িয়া বাজারে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে কোন অনুমতি ছাড়াই চলছে বিস্কুট ফেক্টরী । অবাক করার বিষয় বছরে দুবার জরিমানা করে হালাল করে দেন বাজারজাত করার জন্য বলেও চৌবাড়িয়া বাজারের একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিশ্চিত করেন। শুধু তাই না নিম্মমানের পণ্যের জন্য ফেক্টরীর আশপাশের মুদি দোকানিরাও আল আমিন ফেক্টরীর পন্য নিতে চায় না।

এক ক্ষুদ্র চা ব্যবসায়ী জানান, তাদের পণ্যের মান এতই খারাপ আমরাই নিতে চায় না। ছয় মাস পর পর ভোক্তা অধিকার থেকে এসে জরিমানা করে ব্যবসা হালাল করে দেন। এক দু বছর ধরে না ১৬ বছর ধরে অবৈধ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা।

জানা গেছে, তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউপি এলাকার শেষপ্রান্ত মালশিরা চৌবাড়িয়া বাজারে আল আমিন বিস্কুট ফেক্টরী গড়ে তুলেছেন নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার মিঠাপুকুর গ্রামের বাসিন্দা লুৎফর রহমান। নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকার বেশকিছু ব্যবসায়ীরা অবৈধ ভাবে বিভিন্ন ফেক্টরী গড়ে তুলে চৌবাড়িয়া মাদারিপুরসহ উপজেলা জুড়ে ভেজাল পণ্যে জম্পেশ বানিজ্য করে আসছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করেন। আবার যত সামান্য লোক দেখানো জরিমানা আদায় করে আইওয়াশ করে দেন।

স্থানীয় বেশকিছু ব্যবসায়ীরা জানান, মাঝে মধ্যে অভিযান চলে জরিমানাও করা হয়, কিন্তু ব্যবসা বন্ধ হয় না। যেখানে পন্য তৈরি করা হয় সেই জায়গা এত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর এবং যারা এসব কাজ করে তারাও কোন নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। না করার কথা, কারন তারাও ভালো করেই জানেন বছরে দুবার জরিমানা হবে, তা দিতেই হবে। এজন্যই দেদারসে চলছে ব্যবসা।
শুধু চৌবাড়িয়া বাজার না উপজেলার কালিগন্জ, গোল্লাপাড়া, মুন্ডুমালা, কামারগাঁসহ আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে অবৈধ বিস্কুট ফেক্টরী। তাদের পন্যেও বিএসটিএর মনোগ্রাম থাকে। কিন্তু উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ন মুল্য কিছুই থাকেনা। বিশেষ করে কালিগন্জ হাটের জুই ফেক্টরীর ভেজাল নিম্মমানের পন্যে বাজার সয়লাব করে ফেলেছে। তার ওখানেই কয়েকবার জরিমানা করে হালাল করে দেন ভোক্তা অধিকার।
আলা আমিন বিস্কুট ফেক্টরীর মালিক লুৎফর রহমানে জানান, আমার এখানে বিস্কুট, কেক, পাওরুটি তৈরি করা হয়। বিএসটিএর কোন অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান বছরে দূবার জরিমানা দিতেই হয়, এটাই তো বড় অনুমোদন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের জেলা সহকারী পরিচালক মাসুদ আলী জানান, ফেক্টরী চালাতে হলে অনুমোদন লাগবে। আবার অনুমোদনের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ব্যবসা করতে পারে। অনুমোদন না পেলে আবেদন করে কত দিন ব্যবসা চালানো যায় জানতে চাইলে তিনি জানান, অনুমোদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেয়। তবে কোন ফেক্টরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আল আমিন বিস্কুট ফেক্টরীতে আপনারা বছরে দু বার জরিমানা আদায় করে ব্যবসা করার নাকি মৌখিক অনুমতি দেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন আসলে এরকম কোন বিষয় না, আমাদের অভিযান সারা বছর চলে। তারপরও আল আমিন ফেক্টরীতে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *