প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ গবেষক প্রফেসর ড. আবদুল খালেক বলেছেন-শিক্ষকদের বেতন বাড়লেই উচ্চশিক্ষার মান বাড়বে না, শিক্ষকদেরকে দেশ প্রেমিক ভাল মানুষ হতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু করে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় সম্ভব নয়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে শনিবার ‘বিশ্বজুড়ে উচ্চশিক্ষায় গতিপ্রকৃতি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর অসংখ্য কলেজ পরিচালনার যে চাপ পড়েছে মানসম্মত উচ্চশিক্ষার স্বার্থে সে চাপ লাঘব করা জরুরী। সেক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন দেশে যে সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে সে সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কমপক্ষে ৫টি কলেজ অধীভুক্ত করতে পারলে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন করা সম্ভব হতে পারে।
সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইমিরিটাস অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন- বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষায় উন্নত করতে হলে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। এক্রেডিটেশন কাউন্সিল জোরদার করতে হবে, উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে।
তিনি তার প্রবন্ধে বলেন- দেশে কতিপয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মকসুদ কামাল, একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও নির্বাহী সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।