তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে ২০ বছর পর ১০বছরের কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামীসহ যাবৎজীবন সাজা প্রাপ্ত অপর পলাতক আসামীসহ দীর্ঘদিন ধরে থানায় পড়ে থাকা গ্রেপ্তারী পরোয়ানা গুলোর আসামীদের গ্রেপ্তার করে ব্যাপক প্রসংশিত হচ্ছেন তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া।
সুশীল সমাজ ও শান্তিপ্রিয় জনসাধারণ বলছেন, অন্য ওসিরা যা পারেননি তা করে দেখাচ্ছেন বর্তমান ওসি কামরুজ্জামান মিয়া।
এলাকাবাসী বলছেন, তানোর থানায় যোগদিয়ে তিনি বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি আইনশৃংখ্যলা পরিস্থিতি নিয়ে সুধী সমাবেশ করে বলেছিলেন, থানায় যেকোন কাজে গেলে আপনারা কেউ কাউকে কোন প্রকার টাকা পয়সা দিবেন না।
তার দেয়া সেই ঘোষনার প্রতিফলন বাস্তবে রুপ নিয়েছে, থানায় বিভিন্ন কাজে আসলে কাউকেই কোন ধরনের টাকা পয়সা দিতে হচ্ছে বা পুলিশ কোন টাকা পয়সা ছাড়াই সেবা দিচ্ছেন।
অপর দিকে দীর্ঘদিনের পলাতক অপরাধীরা গ্রেপ্তার হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে এক ধরনের পজেটিভ ধারনার পাশাপাশি জনমনে স্বস্থি ফিরেছে।
এলাকাবাসী বলছেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক পরিশ্রম করে যাচ্ছে তানোর থানা পুলিশ। একই সাথে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড দমনে জনসচেতনার পাশাপাশি রাত-দিন বিভিন্ন স্থানে পুলিশি টহল জোরদার করায় অনেক আংশে কমে গেছে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন অভিযোগকারীর বলেন, থানায় অভিযোগের সাথে টাকা না দিলে পুলিশ তদন্ত করতে যায়না এবং কাজও হতোনা আমরা এটাই ভেবে টাকা দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ কোন টাকা নেয়নি এবং নিচ্ছেনা। তবে, তাদের অভিযোগ গুলো পুলিশ যথা সময়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, সেবার মনোভাব নিয়ে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। ঊধ্র্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ নিষ্ঠার সাথে দাযিত্ব পালন করায় সফলতা পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, থানায় আসা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কেউ কোন টাকা নিবেনা এমনটি নির্দেশনা রয়েছে। ফলে, পুলিশকে জনগনের বন্ধু হয়ে কাজ করতে পারায় সফলতা পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
স্ব:বা/না