স্বদেশবাণী ডেস্ক: বলিউডের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খানের সিনেমা মানেই হিট। এ ধারণা পাল্টে দিয়েছে তার নতুন মুক্তি পাওয়া সিনেমা রাধে। এ সিনেমায় সালমান খানকে ভিন্নরূপে আভির্ভূত করেছেন পরিচালক।
দর্শকরা এ সিনেমাকে না নেয়ার আরও একটি কারণ, সিনেমার গল্পটি তেমন আকর্ষণীয় নয়। এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজতাক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সমালোচকরা রাধে নিয়ে খুব খারাপ রিভিউ দিয়েছেন। দর্শকদের থেকে একেবারেই ভালো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সালমান খানের সবচেয়ে খারাপ রেটিংওয়ালা ফিল্মের তকমা দিয়েছে রাধেকে। ১০-এর মধ্যে পেয়েছে মাত্র ১.৭!
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেলিম খান বলেন, ‘এর আগে সালমানের ছবি ছিল দাবাং ৩। যেটা অনেকটাই আলাদা ধরনের ছবি ছিল। তারও আগে বজরঙ্গি ভাইজান, যেটা ভালো সিনেমা তো ছিলই একই সঙ্গে বেশ খানিকটা আলাদাও ছিল। রাধে একেবারেই ভালো সিনেমা নয়।
এবার ছবির সমালোচক স্বয়ং সালমানের বাবা ও বলিউডের বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার সেলিম খান।
সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, রাধে একেবারেই ভালো ছবি নয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, এর আগে সালমানের ছবি ছিল দাবাং ৩। যেটা অনেকটাই আলাদা ধরনের ছবি ছিল। তারও আগে বজরঙ্গি ভাইজান, যেটা ভালো সিনেমা তো ছিলই একই সঙ্গে বেশ খানিকটা আলাদাও ছিল। রাধে একেবারেই ভালো সিনেমা নয়। কিন্তু বাণিজ্যিক ছবির একটা দায়িত্ব থেকে যায়, যাতে সকলে রোজগার করতে পারে। শিল্পী, প্রযোজক, নিবেদক, এগজিবিটর, সকলেই যাতে বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত পান। যিনি সিনেমাটি কেনেন, তাঁকে যে কোনও মূল্যে টাকা ফেরত পাওয়া উচিত। এর উপর নির্ভর করে সিনেমা তৈরি এবং তার ব্যবসা চলতে থাকে। এ হিসাবে দেখলে সালমান পারফর্ম করেছে। সিনেমায় বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পেয়েছেন। বাকি রাধে কোনও গ্রেট সিনেমা একেবারেই নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আরও একটি বড় সমস্যা হল এখানে ভালো মানের লেখক নেই। এর অন্যতম কারণ আজকের লেখকরা হিন্দি বা উর্দু সাহিত্য পড়েন না। বাইরের কোনও সিনেমা বা লেখা পড়ে তার ভারতীয় সংস্করণ তৈরি করতে লেগে পড়েন। অমিতাভ বচ্চনের জঞ্জির সিনেমা গেম চেঞ্জার ছিল। এই ছবিটি ভারতীয় সিনেমাকে সঠিক রাস্তায় ফেরত নিয়ে এসেছিল। এর পর থেকে সেলিম-জাভেদের বিকল্প এখনও বলিউডে আসেনি। এ অবস্থায় সালমান-ও কী করবে।’