আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর তীরে একটি বন্দরে বাংলাদেশি যে জাহাজ ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ আটকে পড়েছিল, সেই জাহাজে রাশিয়ার রকেট হামলায় বাংলাদেশি নাবিক ও জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান নিহত হন। আর ওই জাহাজটিতেই রকেট হামলার সময় নাবিক হিসেবে ছিলেন নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের সান্তানপাড়া গ্রামের মৃত ফরহাদ হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন খান।
তিনি পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামে বসবাস করেন। প্রায় দুই মাস আগে ওই জাহাজে নাবিক হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে পাড়ি জমান। বুধবার এ ঘটনার পর থেকে জামাল হোসেনের পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জামাল হোসেনের ছোটভাই কনক খান বলেন, ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলার খবর পেয়ে গতকাল বারবার চেষ্টা করেছি ভাইয়ের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। কিন্তু কোনোভাবেই খোঁজ নিতে পারিনি। এতে উদ্বেগ ও উৎণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি আমরা। পরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন অফিসে যোগাযোগ করলে তারা জানিয়েছে অন্য সবাই ভালো আছেন।
ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় থাকা পরিবার-আত্মীয়স্বজন ও এলাকার সবাই চাইছেন জামাল হোসেন খান নিরাপদে থাকুক এবং সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক এই বাংলার মাটিতে।
স্ব.বা/ রু