সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন : পুলিশের এসআই নাছির

চারণ সংবাদ জাতীয় রাজশাহী লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশের টেন্ডারবাজার, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একশ্যান শুরু হয়েছে। অপকর্ম ও অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না/পাচ্ছে না। শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশে এ শুদ্ধি অভিযান চালানো হবে। ঠিক এ সময় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ওয়ারী ডিভিশনেরে যাত্রাবাড়ী থানার এসআই নাসির আহম্মেদের সাত মাসের করুন কাহিনী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ফেসবুক স্টেটাসে’‌ সারাদেশ ব্যাপি আলোচনার ঝড় উঠেছে। কি ভাবে এসআই নাসির আহম্মেদের শশুর বাড়ির লোকজনের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে দীর্ঘ সাতমাসের করুন কাহিনী Nasir Ahmed এর ফেসবুক থেকে নিয়ে হুবহু তুলে ধরা হলো।

এসআই নাছির বলছি…….

বিচার পাওয়ার আশায় নয়, অসহায় মানুষের উপর ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্ট্যাটাস…………..
(যদিও স্ট্যাটাস দিলে চাকরী থাকবে না, হয়তো বাঁচিয়ে রাখা হবে না আমাকে, আমার পরিবারের কাউকে)

পুলিশের একজন অফিসার হওয়া সত্ত্বেও মিথ্যা অভিযোগে আমার হাতে হাতকড়া পড়িয়ে ২দিন বেয়াইনীভাবে আটক রেখে দিল পাবনা ডিবি অফিসে আর পাবনা সদর থানায়। কিন্তু তাদের ক্ষমতার কাছে সবাই তুচ্ছ জন্য আমি পুলিশ অফিসার হওয়ার পরও পাবনার পুলিশবাহিনীই আমার বিরুদ্ধে এই বেআইনী গ্রেফতার, হয়রানী করে বসলো। পাবনা কৃষ্ণপুর আমার মামাশশুরের বাড়িতে আমার শশুর কৌশলে ডেকে নিয়ে গেল আর আমারই ব্যাচমেট ডিবির এসআই শাহিন আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল পাবনা ডিবি অফিসে। কেড়ে নেওয়া হলো আমার ফোন। সব কিছু জানার পরও আমার নিজ ইউনিট আরএমপি কর্তৃপক্ষ আমার পক্ষে দাড়ানোর সুযোগ পাই নি।

একটা মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক আছে, এই অযুহাতে “যৌতুক এর দাবীতে স্ত্রিকে নির্যাতন” মর্মে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে অবৈধভাবে আমাকে আটক রাখা”র ব্যাপারটি সবাই মেনে নিল। আর আমি শুধু সমাজের কাছে খারাপ হয়ে গেলাম। না মেনেইবা কি করবে? আমার পক্ষ নিয়ে আমার শশুর বাড়ির এতো বড় শক্তির বিরুদ্ধে কে লড়বে। আমি পুলিশ অফিসার হয়েও স্বয়ং পাবনা পুলিশ বাহিনীই আমার বিরুদ্ধে অবৈধ আটকের পদক্ষেপ গ্রহন করলো। আমার শশুর সাইফুল ইসলাম আমাকে পাবনাতে একদিনের জন্য কৌশলে ডেকে নিয়ে এসে ক্ষমতা দিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে ২ দিন অবৈধভাবে পুলিশ হেফাজতে আটক রাখলো, আবার ১৪ দিন পাবনা পুলিশ হাসপাতালে আমাকে অসুস্থ দেখিয়ে ভর্তি করে ১৪ দিন নজরবন্দি করে রাখলো।

পাবনা পুলিশ হাসপালাতে ভর্তি দেখিয়ে আমাকে আটক রাখা অবস্থায় আমার শশুর এর ইচ্চামতো লেখা ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে আমার সাক্ষর নিয়ে গেল আমারই ব্যাচমেট পাবনা সদর থানার এসআই একরামুল। ২৯/০৩/২০১৯ তারিখ দুপুর ১ টা থেকে সারাদিন ডিবি অফিসে আটক রেখে রাত্রি ১০ টায় এসপি স্যার এর অফিসে আমার হাতে হাতকড়া পড়িয়ে যৌতুকের দাবীতে শারীরিক নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সমাধান হল আমার মামা শশুর আর আমার শশুরের পা ধরে ক্ষমা চাইতে হবে অন্যথায় আমাকে মামলা করে জেল খাটানো হবে আর এসআই এর চাকরীটাও চলে যাবে। আমি নাকি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার স্ত্রীকে পাগল বানানোর জন্য পয়েজন পুশ করেছি, আমি নাকি যৌতুকের দাবীতে শারীরিক নির্যাতন করেছি। এতো বড় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমার শশুর আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেছে। এসপি স্যার এর কাছে আমার শেষ কথা একটাই ছিল, আমার বিরুদ্ধে যা হচ্ছে, হয়তো আমার আর অস্তিত্ত্ব থাকবে না, কিন্তু আপনারা সবাই একদিন জানবেন যে, আমি সত্যিই এমনটা করিনি। কিছু পুলিশ অফিসার, আমার আত্বীয় স্বজন, বন্ধু মহল আমাকে বাঁচানোর জন্য উনাদের পা ধরে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ করেছিল।

আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী (বিপিএম) এর কাছ থেকে সন্মাননা ক্রেষ্ট গ্রহন করছেন তৎকালীন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই নাসির আহম্মেদ।

এতোবড় মিথ্যা অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে অবৈধ গ্রেফতার এবং হয়রানীর সাথে আমি সেদিন আপোষ করিনি।

সম্পর্ক করার ব্যাপারকে কেন্দ্র করে শাস্তি হলে আমি মেনে নিতাম। কিন্তু যৌতুকের দাবীতে শারীরিক নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে হয়রানী করার কারনে আমি কারও পা ধরে ক্ষমা চাইনি। ফলে আমাকে সবার সামনে হাতকড়া পড়িয়ে রাত্রি পাবনা এসপি অফিস থেকে পাবনা সদর থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পা ধরে ক্ষমা চেয়ে আপোষ করার জন্য সবাই চাপ দিলেও আমি একটা কথাই সবাইকে বলেছি, ক্ষমতা দেখিয়ে আমার ক্ষতি করতে পারবে, কিন্তু এতোবড় অন্যায়ের কাছে আমাকে নত করাতে পারবে না। আমার যা হবার হবে।

আমাকে হাতকড়া পড়িয়ে এসপি অফিস থেকে থানায় নিয়ে যাওয়া দেখে আমার মা চিৎকার করে কাদতে থাকে এসপি অফিসের সামনে। আর আমি একমাত্র ছেলে হয়ে সেই দৃশ্য দেখতে দেখতে ওসি তদন্ত স্যারের গাড়িতে করে হাতকড়া পরে পাবনা সদর থানার চলে যাই। সারা রাত্রি থানায় আটক রাখার পর আমার বাবা মা আমাকে না জানিয়ে আমার মামা শশুর বাড়িতে গিয়ে আমার শশুর আর মামা শশুর এর পা ধরে গরাগরি করে আমাকে ভিক্ষা চাই। আমার বাবা মায়ের আর্তনাদে শর্তসাপেক্ষে আমাকে থানা থেকে ৩০/০৩/২০১৯ তারিখ আবার এসপি অফিসে নিয়ে আসা হয়। জানতে পারি যে, আমাকে সহ আমার মা, বোন আর দুলাভাই এর নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারায় মিথ্যা অভিযোগ করেছিল।

আমি পরিবারের একমাত্র ছেলে জন্য আমার মা, বোন আর দুলাভাইকে মামলা থেকে বাঁচাতে এসপি অফিসে সব শর্ত মেনে নিলাম।

* শর্ত অনুযায়ী আমাকে পাবনা পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অসুস্থ দেখিয়ে ১৪ দিন ভর্তি করে রাখা হল। বন্দি জীবন নিয়ে ১৪ দিন কাটালাম।

* শর্ত অনুযায়ী আমার শশুর বাড়ির কাছে চাকরী করতে হবে জন্য পাবনা পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় ডিএমপি ঢাকাতে বদলীর ব্যবস্থা করা হল। কিন্তু বদলী আদেশ চলে আসলো সিলেট মেট্রোপলিটন। সেখানে একদিনের মধ্যে যোগদানের কথা উল্লেখ থাকলেও আমাকে যোগদান করতে না দিয়ে পুলিশ হাসপাতালে থাকা অবস্থায় এসএমপি বদলীর আদেশ বাতিল পূর্বক ডিএমপি-তে বদলীর আদেশ আসলো পুনরায়।

* শর্ত অনুযায়ী পাবনা পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে থাকা অবস্থা আমার শশুর এর ইচ্ছামতো লেখা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নিয়ে গেল আমারই ব্যাচমেট পাওনা সদর থানার এসআই একরামুল।

* তবে শর্ত অনুযায়ী আমার নিজ বাড়ি পাবনাতে বাবা মায়ের কাছে ৬ মাসের মধ্যে যাওয়ার অনুমতি না থাকলেও সেই সুযোগটা আমার হয়েছে।

* শর্ত অনুযায়ী ডিএমপিতে যোগদান করলেও ডিএমপি থেকে আমাকে মিরপুর বিভাগে বদলী করা হল। সেখানে মিরপুর কাফরুল থানায় দিল। আমার শশুর বাড়ি ওয়ারী বিভাগের অধীনে হওয়ায় সেখান থেকে ওয়ারী বিভাগে বদলী করে নিয়ে আসা হল। মিরপুর ১৪ দিন থেকেই আবার ওয়ারী ডিভিশনে যোগদান করে যাত্রাবাড়ী থানায় কর্মরত আছি।

* শর্ত অনুযায়ী ডেমরা এলাকায় শশুর বাড়ির পাশে বাসাভাড়া নিয়ে থাকছি। আমার পরিবারকে মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচানোর জন্য আমার সাথে ঘটে যাওয়া বেআইনী সবকিছু মুখবুজে আছি আর দাসত্ব প্রথার মতো তাদের ইচ্ছায় জীবন যাপন করছি। কারণ ওদের অনেক ক্ষমতা। ওদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর ক্ষমতা আমার নাই।

* শর্ত অনুযায়ী আমি একমাত্র ছেলে হওয়া সত্ত্বেও আমার অসুস্থ বাবা মা কে গ্রামের বাড়িতে ফেলে রেখেছি (যা আমার জন্য দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজ)। বাবা মআ’কে সাথে আর রাখতে পারছিনা।

* শর্ত ছিল, আমার শশুর আর স্ত্রী যা বলবে সেভাবে যেন চলি। যদিও সব ব্যাপার সম্ভব নয়, চেষ্টা করেছি।

শর্ত আরও কিছু ছিল, সেসব আর না বলি। আমার জীবনে এতো বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও খুব বেশি সহজ না হলেও দাসত্ব মেনে নিয়ে আমি ঢাকায় শশুরদের হেফাজতে এসে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছি প্রায় ৬ মাস হয়ে গেল। কিন্তু তাতে হয়তো তাদের কমতি হয়ে যাচ্ছে। তাই সব সময় আমাকে বুঝিয়ে দেয় যে, আমি দাসত্ব মেনে নিয়ে এসেছি তাদের কাছে। এইটা যেন আমি ভুলে না যায়। গত ছয় মাসে আমার বাবা মা ভয়ে আমার বাসায় আসেনি। দুলাভাই মিটিং এর কাজে ঢাকায় আসবে সাথে বোন আর ভাগনীকে নিয়ে আসবে। কিন্তু ভয়ে আমার বাসায় আসতে চায়না। আমি জোর করে আসতে বলাতে গত ১৫/২০ দিন আগে এসেছিল একদিনের জন্য ঢাকায় আমার বাসায়। তাদের নিয়ে বের হওয়াতে চার্জের মুখে পড়তে হল। বোন দুলাভাই নিয়ে কোথায় যাচ্ছি, কেন যাচ্ছি? পরিস্থিতি বুঝে বোন দুলাভাই ফিরে যেতে চাইল। একরকম অনেক জোড় করেই তাদের রাখলাম। এখন আমার শশুর বলছে কেন তোমার বোনরা এসেছিল? কি ম্যাসেজ নিয়ে তারা তোমার কাছে এসেছিল। আশ্চর্য ব্যাপার, কোন ম্যাসেজ থাকলে ঢাকায় আসতে হয়? ফোনেই তো বলতে পারতো। আমার পরিবার যেন না আসে তার জন্য আগ বাড়িয়ে ঝামেলা???

আমার একমাত্র বোন কেন আসলো? আমার একমাত্র ভাগনী কেন আসলো? তাদের আসা যাবে না। তোমার ডিউটি এখন এতো বেড়ে গেছে কেন? তোমার চলাফেরা সন্দেহ জনক। মিথ্যা মামলা থেকে আমার পরিবারকে বাঁচানোর জন্য আর কত জুলুম অত্যাচার হবে? দেশতো আর মগের মুল্লুক নাই, কিন্তু আমার দেশটা শশুরের মুল্লুক হয়ে আছে।

প্রায় তিন বছর সফলতার সাথে আরএমপি মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম। ইনচার্জ থাকাকালে স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য কাজের স্বীকৃতি স্বরুর ০৮ (আট) বার শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছি। এর মধ্যে ০২ (দুই) বার আইজিপি স্যার কর্তৃক প্রদত্ত ক্রেষ্ট ও সাংবাদিক সংবর্ধনা ক্রেষ্ট অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু এতো অবস্থান সম্পন্ন অফিসার হয়েও আমার নামে বেনামে কোন ব্যাংকে একটা টাকা নাই। কোন জায়গা জমি অন্যান্য কোন সম্পদ আমার নামে বেনামে নাই (যদিও অনেকের ধারনা আমার হয়তো অর্থ সম্পদ আছে)। এই ব্যাপারে আমার চ্যালেঞ্জ থাকলো। যদি টাকার জন্য নোংড়ামি করার মন মানুষিকতা থাকতো তাহলে যৌতুক কেন? এসআই হিসেবে এতোদিন ব্যাংক ব্যালেন্স করে নিতে পারতাম। আর শারীরিক নির্যাতন??? আজ পর্যন্ত স্ত্রীকে একটা থাপ্পর পর্যন্ত মারিনি, বরং পরিবারের ক্ষমতায় রাগারাগী করে আমার স্ত্রী একদিন আমাকে ঝাটা দিয়ে পিটিয়েছে (লজ্জার কথা)। আর সেই আমাকে গ্রেফতার করা হল যৌতুকের দাবীতে আমার স্ত্রীকে শারিরীক নির্যাতনের অপরাধে।

(বিঃদ্রঃ পোষ্টে উল্লেখ করা সমস্থ ঘটনার রেকর্ড আমার কাছে আছে। কেউ যদি বলছে চাই যে, আমি মন গড়া কথা লিখেছি তাহলে সুযোগ দিলে আমি সব রেকর্ড উপস্থাপন করতে পারবো। তবে কারও বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য নয়, শুধুমাত্র ঘটনার সত্যতা প্রমান করার জন্য।)

* আধুনিক যুগে আমার ও আমার পরিবারের সাথে এই দাসত্ব প্রথার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করছি আমি।
* একজন সরকারী কর্মকর্তা (পুলিশের এসআই) হয়ে কোন মামলা না হওয়া সত্ত্বেও একটা মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে হাতকড়া পড়িয়ে গ্রেফতার করে দুইদিন থানায় আটক রাখা এবং আমি অসুস্থ না হওয়া সত্ত্বেও ১৪ দিন পুলিশ হাসপাতালে আমাকে জোড় পূর্বক ভর্তি করে নজরবন্দি করে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করছি আমি।
* আমাকে গ্রেফতার করে থানায় হাজির করার বিষয়ে জিডিতে কোন নোট নাই, দুইদিন পর আমাকে ছেড়ে দেওয়ার কোন মুচলেকা নাই, কোন আইনসিদ্ধ প্রসেস নাই, কেন??? এইসব কিছুর আমি বৈধতা চ্যালেঞ্জ করছি।
হাইকোর্ট তো ক্ষমতার প্রভাবে চলে না।

দেশের জনগন সচেতন হোন, আমি পুলিশ হয়েও জেনে শুনে মিথ্যা অভিযোগ এর ভিত্তিতে বেআইনীভাবে আমাকে গ্রেফতার করে হাতকড়া পড়িয়ে ২ দিন আটক করে রেখে দিয়েছিল। দেশের সাধারন মানুষ তাহলে কতটা অসহায় হয়ে আছে?

কিন্তু এইসব এর বিচার কি হবে? হবে না।

ক্ষমতার অপব্যবহার আর বেআইনীভাবে মানুষের উপর অন্যায় অত্যাচার করা কি প্রতিরোধ সম্ভব হবে???

পরিবারকে বাঁচানোর সার্থে জিম্মি হয়ে আছি। কিন্তু এতো কিছু মেনে যতই থাকছি ততই যেন আমাকে জিম্মি করে রেখে আমাকে নিয়ন্ত্রন করছে। হুকুম শাসন সবই চলছে। কিন্তু এই জিম্মিদশা জীবন অনেক যন্ত্রনার। আমার আর আমার পরিবারের যতোবড় ক্ষতিই করুক, আমি চাই বেআইনীভাবে মানুষের সাথে অত্যাচার বন্ধ হোক। ক্ষমতাশালী মানুষ যেন আর এই নেশায় মেতে না ওঠে। আমার আর আমার পরিবারের অনেক ক্ষতি করে ফেলবে মেনে নিয়েই প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম। প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারায় মিথ্যা মামলাকারীর বিরুদ্ধে নতুন আইন পাস করছে।

আজ ১৯/১০/২০১৯ তারিখ। সকালে আমার শশুর আমার বাসায় এসেছিল। আমার স্ত্রী আমার মোবাইল কেড়ে নেওয়ার জন্য অনেক ধস্তাধস্তি করেছে এবং আমার অনেক ক্ষতি করবে বলে হুমকি ধামকি দিয়েছে। শশুর ফোনে পাবনা থেকে লোক ডেকে পাঠালো। আমি নিজেকে সম্পূর্ণ অনিরাপদ মনে করে কোন রকম বাড়ি থেকে বের হয়ে আসলাম। আল্লাহ তুমি সহায় হও।

এই পোষ্ট দেওয়ার পর হয়তো আমার পরিবারের উপর হামলা হবে, মিথ্যা মামলা হবে। প্রতিদিন আর মরতে চাইনা। ক্ষমতার দাপটে মিথ্যাভাবে, অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে, আল্লাহ বিচার করবে। ক্ষমতার দাপট যতই থাকুক, হিসাব একদিন হবেই। হয়তো আমার জীবনের শেষটা এখানেই। সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। চেষ্টা করেছিলাম নিজে দাসত্ব মেনে নিয়ে পরিবারের সবাইকে বাঁচাতে। এদের ক্ষমতার সাথে আমি পারবোনা। আমার পরিবারের সবার কাছেও আমি ক্ষমা চাচ্ছি। মহান আল্লাহর কাছে আমার পরিবারের সবার সুস্থ্য জীবন ভিক্ষা চাই।

নাছির আহমেদ
এসআই
বাংলাদেশ পুলিশ

(সূত্র: দৈনিক উপচার)

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *