গোদাগাড়ীতে জাহাঙ্গীরের গোছানো সম্ভাবনাময় ভোটের মাঠ নষ্ট করতে মরিয়া ওরা! 

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধি, রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  চেয়ারম্যান প্রার্থী, বর্তমান সফল চেয়ারম্যান  ও উপজেলা যুবলীগের  সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় গোছানো ভোটের মাঠ নস্টের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর উঠেছে সাবেক কতিপয় জনপ্রতিনিধির দিকে। এতে আওয়ামী লীগের আদর্শিক এবং নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ-অসন্তোষ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, বিরাজ করছে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি।
স্থানীয়রা জানান, যিনি এসব করছে তার রাজনৈতিক জীবনটাই বির্তকিত ও পালাবদলের, এবং তার রাতারাতি বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হবার গল্প রুপকথার গল্পকেও হার মানায়। যিনি একটা সময় পদ্মা নদীতে জেলেদের জাল টানা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তারা বলেন, মাটি, পাউডার ও হন্ডিবাবা নামে পরিচিত এসব মতলববাজ সুযোগসন্ধানীর কারণেই দলের ভিতরে এতো কোন্দল ও মতবিরোধ।
তৃণমুলের অভিযোগ, জাহাঙ্গীর আলমের বিরোধীতা করে পদপদবী হারানো একশ্রেণীর বিপদগামী আওয়ামী লীগ নামধারীর সঙ্গে তিনি জোট বেঁধেছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, জাহাঙ্গীর আলমের বিজয় ঠেকাতে তিনি আওয়ামী লীগের তৃণমূলে কোন্দল সৃষ্টিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা বলছে, যাদের নাই কোনো শিক্ষাগত এবং রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা, নাই সামাজিক মর্যাদা ও পারিবারিক ঐতিহ্য বা সামাজিক স্বীকৃতি।কিন্ত্ত কালো টাকা ও পেশী শক্তির জোরে নেতা হতে মরিয়া হয়ে ভোটের মাঠ নষ্ট করছে। তার টার্গেট বিজয় নয় যেকোনো মুল্য জাহাঙ্গীর আলমের বিজয়র ঠেকানো।
কেউ কেউ বলছে, এমপিবিরোধী শিবিরের নেপথ্যে মদদে বিএনপি-জামাতের কাছে থেকে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের বি-টিম হয়ে তাদেরই এজেন্ডা বাস্তবায়নে এরা এসব শুরু করেছে। এদের এসব অপতৎপরতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে  উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন , দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।
এদিকে একটি অসমর্থিত সুত্র জানায়, প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার কতিপয় নেতা এদের ট্রার্মকার্ড হিসেবে  মাঠে নামিয়েছে। কারণ তার আশঙ্কা রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে  এমপি ফারুক চৌধুরীর কোনো বিকল্প নাই। ফারুক চৌধুরীকে ঠেকাতে হলে, আগে তার অনুগত নেতাকর্মীদের একে একে দুরে সরাতে হবে। নির্বাচনে বিজয়  তার উদ্দেশ্যে নয়, যেকোনো মুল্য ফারুক চৌধুরীর সহযোদ্ধা জাহাঙ্গীরের বিজয় ঠেকানো।
তৃণমুলের ভাষ্য, এমপি ফারুক চৌধুরী থাকলে তার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের মাথা তুলে দাঁড়ানোর শক্তি নাই। তাই ফারুক চৌধুরীকে দুর্বল করতে তার অনুগত আদর্শিক, আস্থাশীল  ও পরিক্ষিতদের টার্গেট করা হয়েছে। গোদাগাড়ীতে এবার তাদের টার্গেট জাহাঙ্গীর আলম।  আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কতিপয় নেতার নেপথ্যে মদদে বিএনপি-জামায়াত অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে। তারা আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর বিপদগামী নেতার পেছনে বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। আওয়ামী লীগের ছায়াতলে থেকে তারা  বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করছে। অথচ এদের সঙ্গে জোট করে কি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া যায়।
এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের গণসংযোগে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের স্বঃঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ  চোখে পড়ার মতো। আসলে এক জন রাজনৈতিক নেতা কি পরিমাণ কর্মী-জনবান্ধব ও জনপ্রিয় হলে গণসংযোগে সাধারণ মানুষের এমন ঢল নামে সেটা জাহাঙ্গীরের গণসংযোগ না দেখলে যে কারো পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল  নেতা এবং কর্মী-সমর্থকেরা জাহাঙ্গীর আলমের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ ও একট্টা হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে এসব প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে অংশগ্রহণ করেন।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *