বাগাতিপাড়ায় ২৯ বছর পর জমি বুঝে পেলেন ভূমিহীন ‘কদভানু’

রাজশাহী লীড

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বন্দোবস্ত পাওয়ার প্রায় ২৯ বছর পর দখলমুক্ত করে বন্দোবস্ত গ্রহিতা ‘কদভানু’ নামের এক ভূমিহীন নারীকে এ জমি বুঝিয়ে দিলেন ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল।

এর আগে স্থানীয় কয়েকজন জমিটি তাদের দখলে রেখেছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার জামনগর ইউনিয়নে সেই ভূমিহীন নারীকে জমিটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জামনগর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ইউনূস আলী জানান, ওই ইউনিয়নের জামনগর মৌজার ১০০৮৩ দাগের ২০ শতাংশ এবং ১০১১২ দাগের ২৯ শতাংশ জমি ১নম্বর খাস খতিয়ানের কৃষি শ্রেণীর জমি। ওই জমি ১৯৯০-৯১ বছরে স্থানীয় ভূমিহীন আক্কেল আলী এবং তার স্ত্রী কদভানুর নামে ভূমি অফিস থেকে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়।

কিন্তু জমির সাথে লাগোয়া হওয়ায় ওই জমির ২০ শতাংশ পরিমান জামনগর এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে জহুরুল, মহুরুল ও কাবিল এবং ২৯ শতাংশ পরিমানের জমি একই এলাকার মৃত হাবিবুরের ছেলে ভুট্টু দখলে রেখে দেন। ফলে বন্দোবস্ত গ্রহিতারা তাদের জমি বুঝে পাননি। এর মধ্যে বন্দোবস্ত গ্রহিতাদের মধ্যে কদভানুর স্বামী আক্কেল আলী মারা যান।

এদিকে বন্দোবস্ত দেওয়ার পর দখলদারেরা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সরকার পক্ষে রায় হয়। পরে জেলা জজ আদালতে আপিল করলে আদালতের রায় দখলদারদের বিপক্ষেই রয়ে যায়। এরপর বছর দুয়েক পূর্বে তৎকালীন ইউএনও দখলদারদের থেকে জমি উদ্ধার করলেও পরে তারা আবারও জমিটি দখল করে নেন।

এ ঘটনার পর গত সপ্তাহে ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল জমিটি উদ্ধার করে কদভানুকে ভোগ দখলের নির্দেশ দেন। কিন্তু এ নির্দেশের পর পুণরায় দখলদারেরা ওই জমি দখল করেন।

এ খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল গ্রাম পুলিশ ও ভূমি অফিসের লোকজন নিয়ে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে জমি উদ্ধার করেন এবং বন্দোবস্ত গ্রহিতা কদভানুকে জমি বুঝিয়ে দেন। এছাড়াও ইউএনও দাঁড়িয়ে থেকে জমির পরিমান মেপে আইল তৈরি করে দেওয়া হয়। প্রায় ২৯ বছর পর জমি বুঝে পেয়ে হাসি ফুটে কদভানুর।

এ ব্যাপারে ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, বেশ কয়েকবার দখলদারদের নোটিশ করে জমি ছেড়ে দিতে বলা হলেও তারা তা মানেননি। ফলে আদালতের নির্দেশমতো তিনি দখলদারদের উচ্ছেদ করেছেন এবং বন্দোবস্ত গ্রহিতা ভূমিহীন কদভানুকে জমি বুঝিয়ে দিয়েছেন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *