মহানগরীর নওদাপাড়া-ভদ্রা রেল ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল অবস্থা

রাজশাহী লীড

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল থেকে ভদ্রা রেল ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তা ভেঙ্গে গিয়ে অসংখ্য খানাখন্দে ভরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন যানবাহন চালক ও পথচারীরা। আর বৃষ্টি হলে এই রাস্তায় চলাচলকারীদের ভোগান্তি বেড়ে যায় আরো বহগুণে। রাস্তা ভেঙ্গে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার কারণে এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন। তাই তারা দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করে চলাচলের উপযোগি করার দাবি জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত প্রায় ১৩ বছর আগে শিক্ষানগরী রাজশাহীর নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল থেকে ভদ্রা রেলক্রসিং পর্যন্ত এ রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়।

নগরের ভেতরে কোন বাইপাস সড়ক না থাকায় এটি বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই রাস্তা দিয়ে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, টেম্পু, সিএনজি, অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শত শত যানবাহন চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে। ভারি যানবাহন বেশি চলাচল করার কারণে আরো দ্রুত রাস্তাটি ভেঙ্গে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নির্মাণের পর দীর্ঘ ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও রাস্তাটি একবারও

সংস্কার করা হয়নি। আর এভাবে ভেঙ্গে আছে প্রায় গত ৪ বছর ধরে। ভাঙ্গার পর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তাটি মেরামতের দাবি জানিয়ে আসছেন। প্রায় সাড়ে ৪৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রাস্তা দিয়ে আগে বাস, ট্রাক বা মোটরসাইকেল চালকরা মাত্র ৭ থেকে ১০ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলে এখন সেই রাস্তা পার হতে সময় লাগছে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। আর বড় বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ার কারণে যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছেও বলে চালকরা জানিয়েছেন। এক বাস চালক বলেন, এই ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করার কারণে গাড়ীর অনেক সমস্যা হয়। পার্টসগুলোর ক্ষতি হয় ও কম সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। আরেক

বাস চালক বলেন, ৫ থেকে ৭ মিনিটের রাস্তায় এখন প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগছে। আরেক বাস চালক বলেন, এই রাস্তা এখন চলাচলের জন্য নয়। এই রাস্তায় ধান চাষ করা লাগবে। এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমি দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েছিলাম। আমার মতো অনেকেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন।
স্থানীয় রাহিমুল নামের একব্যক্তি বলেন, গত ৪ বছর ধরে এই রাস্তা ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। এরপরও সংস্কার বা মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। দ্রুত রাস্তাটি মেরামতের দাবি জানাচ্ছি। এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, আমার রাস্তার পাশেই বাড়ি। রাস্তা ভাঙ্গা থাকার কারণে ভারি যানবাহন গেলে বাড়ি কেঁপে উঠে।

নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মনির বলেন, রাস্তা ভাঙ্গা কারণে অনেক সময় দ্রুত গতির কাজ বাধাগ্রস্থ হয়। যারা থানায় সেবা নিতে আসেন তারাও সমস্যার মধ্যে পড়েন। তাই রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন। এদিকে, গত ১ বছর আগে রাস্তাটি মেরামতের জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে দায়িত্ব দেয় রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কিন্ত এখানো কাজ শুরু হয়নি। রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) খাইরুল বাসার বলেন, মেয়র স্যারকে জানানো হয়েছে। স্টিমেট হয়ে গেছে। সংস্কার করা হবে।

 

স্ব:বা/ না

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *