স্টাফ রিপোর্টার: মোবাইল, টাকা ও নিজের ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে ১৩ বছর বয়সী ৪র্থ শ্রেণীর এক কিশোরীকে ধর্ষনের পর স্থানীয় সালিশে ৪০ হাজার টাকায় সমাধানের অভিযোগ উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
ঘাস কাটতে গেলে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে পাশের আমবাগানে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে গোমস্তাপুর উপজেলার পাবর্তীপুর ইউনিয়নের দায়েমপুর-হঠাৎপাড়া ঝাটু কোলার ছেলে আনারুল ইসলাম (৫৫)।
গত ০৩ অক্টোবর ধর্ষণের পর ০৬ অক্টোবর সকালে স্থানীয় সালিশে এর সমাধান করে দেন ধর্ষক আনারুলের আত্মীয় ও ধান-চাল ব্যবসায়ী আজহারের ছেলে আমিনুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানায়, ০৩ অক্টোবর দুুপুর আনুমানিক ১২টার পর এই ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।
ধর্ষনের শিকার কিশোরী জানায়, ঘাস কাটতে গেলে আনারুল মোবাইল, টাকা ও তার ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার কথা বলে পাশের একটি আমবাগানে নিয়ে যায়। এসময় চিৎকার করার চেষ্টা করলে মুখে গামছা বেঁধে দেয় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
বিষয়টি কাউকে জানালে কেটে ফেলবো বলে হুমকি দেয় সেচ প্রকল্পের ড্রাইভার আনারুল। কিশোরী আরো বলে, আমার সাথে খুব খারাপ কাজ করেছে, আমি এর বিচার চাই।
পাবর্তীপুর ইউনিয়নের হঠাৎপাড়া গ্রামের ফারুকের ছেলে কারিম ও লুৎফর রহমানসহ আরো কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, ৫ দিন আগে পাশের আমাবাগানে এমন ঘটনা হয়েছে বলে আমরা জানি৷ কিন্ত টাকার বিনিময়ে মেয়ের মা-বাবার সাথে সমাধানের চেষ্টা করছে আনারুল ও তার পরিবার।
ঘটনার পর বিষয়টি স্থানীয়রা জানাজানি হয়ে গেলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে ৫ সন্তানের জনক আনারুল।
তার নিকটাত্মীয় ও ধান-চাল ব্যবসায়ী আমিনুল মঙ্গলবার ৪০ হাজার টাকায় ধর্ষনের সালিশ করে দেন। ক্রন্দনরত অবস্থায় কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে বাগানে নিয়ে গিয়ে অন্যায় কাজ করেছে।
ধর্ষনের সালিশকারী ও ধান-চাল ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম এবং আনারুল ও তার পরিবারের সাথে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তারা এবিষয়ে কথা বলতে নারাজ। এমনকি আমিনুলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে কথা বলতে পাবর্তীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী খানের যোগাযোগ করা হলে তারও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গোমস্তাপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) জসীম উদ্দীন জানান, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্ব:বা/না