স্বদেশ বাণী ডেস্ক: ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ লোকদের ধরে ‘টর্চাস সেলে’ আটকে রাখতেন। এরপর জিম্মি করে হাতিয়ে নিতেন মোটা অংকের টাকা। কখনো বা নির্যাতন। আবার কখনো ইয়াবা-অস্ত্রের ছবি তুলে ব্লাকমেইল করেও লোকজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সায়মুল হক কাজেমী ওরফে নিয়াজ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া মাষ্টারপুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ এ তথ্য জানতে পারে। পরে তার টর্চার সেলে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতার সায়মুল হক কাজেমী ওরফে নিয়াজ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী দিদারুল হক কাজেমী ওরফে কিরিচ বাবুলের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সায়মুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বাবা দিদারুলের নামেও পুলিশের খাতায় ২৭টি মামলা রয়েছে। নগরের মাষ্টারপুল এলাকায় সায়মুলের একটি টর্চার সেল রয়েছে। সে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও লোকজনকে ধরে নিয়ে টর্চার সেলে আটকে রাখতো। কাউকে নির্যাতন চালিয়ে আর কাউকে ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে ছবি তুলে তা প্রচারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে নেন।
নগরীতে কিশোর গ্যাং, চোর, ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের আশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত সায়মুল। ওই এলাকায় ছিনতাই, চুরির পর তাকে ভাগ দিতে হয়। আর কেউ গ্রেফতার হলে জামিন থেকে শুরু করে যাবতীয় দেখভাল করেন তিনি। কয়েক মাস আগে গ্রেফতার একটি চক্র পুলিশকে তাদের দলনেতা সায়মুল জানিয়েছে। সায়মুল এলাকায় কিশোর গ্যাং তৈরি করে মাদক ব্যবসাও চালিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর ভূমি দখল করে আসছেন। কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুললে নির্যাতনের শিকার হতো।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন জানান, সায়মুলকে গ্রেফতারের পর তার টর্চার সেলে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। মাষ্টারপুল এলাকায় কয়েকটি কিশোর গ্যাংসহ চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইকারী গ্রুপের ৩০ থেকে ৪০ জন সদস্যের নেতৃত্ব দেন সায়মুল। সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি।
স্ব.বা/শা