চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ নেতা এবং এক গর্ভবতী নারীকে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা

জাতীয়

শেরপুর সংবাদদাতাঃ নকলা উপজেলার ৩ নং উরফা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলম তালুকদার ভুট্টোর বিরুদ্ধে গর্ভবতী নারী ও আওয়ামী লীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ নেতা রুবেলকে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ নকলা থানায় নিয়ে আসে।

জানা যায়, ৩ নং উরফা ইউনিয়নের ১ নং হাসন খিলা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল মিয়া। তার বাড়িতে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শতাধিক সমর্থক নিয়ে মধ্যরাতে হামলা চালান। এ সময় রুবেলের গর্ভবতী স্ত্রী ও তার বৃদ্ধ পিতা-মাতা রুবেলকে বাঁচাতে কাকুতি-মিনতি করেন। তবে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেলের স্ত্রী ও তার বৃদ্ধ বাবা-মাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন।

রুবেলের স্ত্রী রিক্তা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী (রুবেল) নৌকা মার্কার নির্বাচন করছে বইলা গতকাল মধ্য রাইতে আমাগো ঘরে ভুট্টো চেয়ারম্যান আইসা নির্যাতন শুরু করে। আমার বৃদ্ধ শাশুড়িকে তার হাতে থাকা টর্চলাইট দিয়া হাতে-পায়ে সজোরে আঘাত করে।’ চেয়ারম্যানের সাথে থাকা লোকজনকে হালের গরু নিয়া যেতে বলেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নূরে আলম তালুকদার ভুট্টোকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরিষদে গিয়েও তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে একাধিক নৌকা সমর্থকের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগসহ সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।হাসন খিলা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মসজিদের ইমাম মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গত রাতে মানুষের গোলযোগ শোনার পর আইসা দেখি পুলিশ রুবেলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাচ্ছে।’

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘গতকাল মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ নেতা রুবেলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি এবং তার গর্ভবতী স্ত্রী ও বৃদ্ধ মা-বাবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার বিষয়টি ওপর মহলের প্রশাসনকে অবহিত করব।’

নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *