শীত আসতে না আসতেই রাজশাহীতে কদর বেড়ে গেছে ভাপা ‍পিঠার

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: শীতের সকালের সূর্য মানেই একটা বাড়ি কিছু পাওয়া। আর তার সঙ্গে যদি যোগ হয় গরম গরম ভাপা পিঠা তাহলে তো আর কথায় নেই। শীতের আমেজকে আরেকটু বাড়িয়ে দেয়।

সেই ভাপা পিঠা এখন রাজশাহীর অলি-গলিতে। যেন হাত বাড়ালেই মিলছে। এক কথায় বলা যায়, ভাপা পিঠায় মেতেছে রাজশাহী।

নগরীর বিভিন্ন সড়কের পাশে দোকানে দোকানে রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে বিক্রি হচ্ছে এ পিঠা। এ যেন পিঠা উৎসবের আমজে দিশেহারা নগরবাসী।

নগরীর মোড়ে মোড়ে বিক্রি শুরু হয়েছে ভাপা পিঠা। শীতের পাশাপাশি চারিদিকে যেন পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে। এই পিঠা ছোট বড় সকলের পছন্দের।

অফিসগামী কিংবা বাড়ি ফেরার পথে এসব দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে পিঠা খাচ্ছেন সব বয়সী মানুষ। কর্মজীবী থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এই পিঠা খেতে ভালোবাসেন। ফলে কাকডাকা ভোর থেকেই রাজশাহীর অলি-গলি মেতে উঠে ভাপা পিঠার মিষ্টি মধুর গন্ধে।

সন্ধ্যা নামলেই রাস্তার পাশে কিংবা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে পিঠা খাওয়া এখন অতি পরিচিত দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এই শহরে। মোড়ে মোড়ে মাটির চুলায় পিঠা তৈরি করছেন নারী ও পুরুষরাও।

নগরীর উপশহরে পিঠা কিনতে আসা জিল্লুর বলেন, ‘বাড়ি থেকে বের হলেই মিলছে নানা রকম পিঠা। তার মধ্যে ভাপা পিঠা অন্যতম। এই পিঠার স্বাদও আলাদা। তাই পছন্দ সবার কাছে। শীতের এই ভাপা পিঠার রসনাবিলাসের সুযোগ হাত ছাড়া করি না। প্রায় কিনে নিয়ে যাই বাসায়।’

নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকায় পিঠা খেতে আসা আবুল হাসান হৃদয় বলেন, ‘শীত মানেই ভাপা পিঠা খাওয়ার সময়। ছোট বেলায় গ্রামের বাড়িতে খেজুরের গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই ছিল আলাদা। তবে এখন রাজশাহীর যে কোনো রাস্তার মোড়ে ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। আবার গরম গরম এই পিঠার স্বাদ ভালো রাগে।গুড়ের সঙ্গে নারিকেল মেশানো পিঠায় বাড়তি স্বাদ এনে দেয়। যেন হাতবাড়িয়ে ডাকে ভাপা পিঠাপ্রেমীদের।’

পিঠার দোকানি নুরুল আলম জানান, ‘সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চুলাই পিঠা তৈরি করেন । শীত তেমন না পরলেও ক্রেতাদের অনেক বেশি চাহিদা।

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ভাপা পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি হয়। প্রতিদিন প্রায় ৭/৮ কেজি চালের গুড়ার ভাপা পিঠা বিক্রি হয়। এতে করে অন্তত ৩-৪শ’ টাকা আয় হয়। এই দিয়েই চলে যায় সংসার।

ভাপা পিঠা বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, ‘দোকানে প্রতিদিন ১০-১২ কেজি চালের গুড়ার ভাপা পিঠা বিক্রি হয়। তিনি আরো বলেন, পুরোপুরি শীত নামলে ক্রেতাদের চাহিদা আরো বাড়বে।’

পিঠা খেতে আসা মানিক বলেন, ‘শীতের ভাপা পিঠা না খেলে মনে হয় না যে শীত এসেছে। তার পরেও শীত এখনো আসেনি। এ পিঠা সকাল বেলা খেতে আরো ভাল লাগে।’

তাদের মতো নগরীর উপশহর নিউমার্কেট, দরগাপাড়া, সাহেববাজার, লক্ষীপুর রেলগেট, আলুপট্টির মোড় বঙ্গবন্ধু চত্বর, তালাইমারী, বিনোদপুর, রাবি স্টেশন বাজার, মোন্নফের মোড়, সাধুর মোড়সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। এ পিঠার গঠন অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি পিঠা ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *