স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর গাছে গাছে মন জয় করা স্বাদের লিচুতে লাল রং ধরেছে। আগামী সপ্তাহে বাজারে আসছে সেই টসটসে লোভনীয় ফল লিচু। রাজশাহীর লিচু মানেই অন্যরকম মিষ্টি ও রসালো স্বাদ। আর বৈশিষ্ট নিয়ে বিভিন্ন জাতের মধ্যে দেশী, বোম্বাই, লিচু এখন গাছে গাছে। লিচু বাগানগুলোতে চলছে পরিচর্যা। সেই সাথে পাহারায় বসেছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। তার কারন এবার রাজশাহীতে বেড়েছে লিচু চাষ।
গত তিন বছরে ১৮ হেক্টর জমিতে বেড়েছে লিচুর চাষ। যা প্রতিবছর লিচু চাষ বাড়ছে গড়ে ৬ হেক্টরের বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ অঞ্চলে বাণিজ্যিক লিচু বাগান গড়ে উঠেছে। লিচু চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক।
এই কর্মকর্তা জানান, এবছর রাজশাহী জেলায় ৪৯৮ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষবাদ হয়েছে। গত বছর ৪৯০ হেক্টর জমিতে ও ২০১৮ সালের লিচুর চাষ হয়েছে ৪৮০ হেক্টর জমিতে। যা তিন বছরে বেড়েছে ১৮ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতি হেক্টর জমিতে সাড়ে ৫ টন লিচু হতে পারে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র জানায়, রাজশাহী অঞ্চলে মূলত উন্নতমানের জাত হিসেবে পরিচিত বোম্বাই, মাদ্রাজি, কাদমি, মোজাফফরপুরী, বেদানা, কালীবাড়ি, মঙ্গলবাড়ি, চায়না-৩, বারি-১, বারি-২ ও বারি-৩ জাতের লিচু উৎপাদিত হয়। এসব লিচুর মোট উৎপাদনও বেশি, আবার আকারেও বড়। রঙও মনভোভা। এবার আম-লিচুর ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। গাছে মুকুল আসার পরে তেমন কোয়াশা ছিলো না।
জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর পবার বিভিন্ন এলাকায়, রায়পাড়া, বুলনপুর, ছোটবনগ্রাম ও কাটাখালি, কুখন্ডি, হরিয়ান ও বুধপাড়া এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে লিচুর চাষ হচ্ছে। এছাড়া জেলার বাগমারা, দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও গোদাগাড়ী উপজেলাতেও চাষ হচ্ছে লিচুর। চাষিরা বলছেন, এবার ঝড়-বৃষ্টি হয়নি। তাই লিচুর ফলন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সেন্টু আলী নামের এক চাষি জানিয়েছেন, ‘গত বছর ঝড়ের কারণে গাছের অধিকাংশ লিচু ঝরে গিয়েছিল। এতে অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবার ঝড় হয়নি। তবে বৃষ্টির প্রয়োজন ছিলো। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক আরো বলেন, এ বছর লিচু গাছে হালকা আছে। তবে ফলন ভালো হবে। কারণ গাছে হালকা লিচু থাকলে ওজন ও আকারে বড় হয়। তাতে চাষিদের পুষিয়ে যাবে।
স্ব.বা/শা