স্টাফ রিপোর্টার: রহনপুর ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি)’র আওতাধীন সোনামসজিদ বিওপি’র সম্মেলন কেন্দ্রে সেক্টর কমান্ডার, বিজিবি রাজশাহী এবং বিএসএফ মালদা সেক্টর কমান্ডার এর মধ্যে সীমান্ত সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত বৈঠকে বিজিবি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ, বিপিএম, জি, সেক্টর কমান্ডার, বিজিবি রাজশাহী এবং বিএসএফ মালদা সেক্টর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডিআইজি শ্রী সঞ্জয় গৌর।
উক্ত পতাকা বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে অংশগ্রহণ করেন অধিনায়ক, নওগাঁ ব্যাটালিয়ন(১৬ বিজিবি), চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন(৫৩ বিজিবি) ও রহনপুর ব্যাটালিয়ন(৫৯ বিজিবি), ভারপ্রাপ্ত অতিঃ পরিচালক (অপারেশন), বিজিবি রাজশাহী, সহকারী পরিচালক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) ও রহনপুর ব্যাটালিয়ন(৫৯ বিজিবি) এবং সোনামসজিদ কোম্পানী কমান্ডার।
বিএসএফ এর পক্ষে অংশগ্রহণ করেন ২৪, ৪৪, ৭৮ ও ১৫৯ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ এর কমান্ড্যান্ট, অন্যান্য স্টাফ অফিসার এবং কোম্পানী কমান্ডারবৃন্দ।
উক্ত বৈঠকে সীমান্ত সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিবিধ বিষয়াদি বিশেষ করে বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিকদের উপর গুলিবর্ষণ না করার জন্য সেক্টর কমান্ডার, বিজিবি রাজশাহী কর্তৃক প্রতিপক্ষ ডিআইজি, বিএসএফ মালদা সেক্টরকে অনুরোধ জানানো হয়।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ ডিআইজি, বিএসএফ মালদা সেক্টর কর্তৃক ভবিষ্যতে সীমান্ত এলাকায় হতাহত রোধকল্পে প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও বৈঠকে অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদ, বিস্ফোরক দ্রব্য, মাদকদ্রব্যসহ অন্যান্য চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী-শিশু ও মানব পাচার প্রতিরোধ, পুশ ইন, অবৈধ সীমান্ত পারাপার বন্ধে নিচ্ছিদ্র সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ বাংলাদেশ পার্শ্বের সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড(মহানন্দা নদীর বাঁধ সংরক্ষণ প্রকল্প)বাস্তবায়ন ইত্যাদি সম্পর্কে অত্যন্ত ফলপ্রসু আলোচনা হয়। দুই পক্ষই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তির আলোকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভুত যে কোন সমস্যা যে কোন সময় ব্যাটালিয়ন/কোম্পানী/ বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে যোগাযোগ/পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে একমত হন এবং অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সৌজন্য সভা সমাপ্ত হয়।
স্ব.বা/শা