স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হকের উপর এতদিন চাপা ক্ষোভ থাকলেও এবার প্রকাশ্যে বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন সকল কাউন্সিলররা। নিজের চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধি ও তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের পিডি হতে কাউন্সিলরদের নিজের পক্ষে আনতেই কাউন্সিলরদেও নিকট টাকা পাঠানোর ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন কাউন্সিলররা। তাই প্রধান প্রকৌশলীকে রাসিকের উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা বলে মনে করছেন তারা। একারনে অনেক কাউন্সিলর মনে করছে নগরীর উন্নয়নে যেই বাধা হয়ে সামনে আসবে তাকেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া দরকার।
জানা যায়, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হকের চাকরির মেয়াদ আছে আর সাত মাস। এরই মধ্যে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিন হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) হতে। সেই সঙ্গে তদবির করছেন চাকরির মেয়াদ বাড়াতে। ইতিমধ্যে কাউন্সিলরদের নিজের পক্ষে নিতে বিলিয়েছেন অর্থ। পিয়নের মাধ্যমে কাউন্সিলদের কাছে টাকা পাঠান প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত সোমবার রাসিক মেয়রের কাছে তারা লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে কাউন্সিলরকে নিজের পক্ষে নিতে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া ও বিগত ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল মেয়র বুলবুল দায়িত্ব গ্রহণের পর মেয়রকে খুশি করতে দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন খোদ আশরাফুল হক। এছাড়াও নিজ দফতরে বসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করার বিষটিও উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরর আনোয়ার হোসেন আনার বলেন, আমরা উন্নয়নের পক্ষে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি। আমাদেও সপ্নের নগরী গড়তে কেউ যদি অপতৎপরতার সাথে লিপ্ত হয় বা উন্নয়নে বাধা হয়ে দাড়ায় তাহলে তাকেই সেখান থেকে অপসারিত করা উচিত।
রাসিকের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি যে ছিড়ে ফেলতে পারে তাকে আমরা মেনে নিতে পারিনা। বিশেষ করে আমাদের প্রিয় নেতা খায়রুজ্জামান লিটন ও আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করা কাউন্সিলররা বর্তমান পরিষদে আছে ততদিন বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর মত কর্মকর্তার স্থান হতে পারেনা।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু পোস্টার ছেড়া, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তি ছাড়াও নানা দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক। সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য ঠিকাদারদের কাছ থেকে পার্সেন্টেস নিতেন তিনি। এভাবে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়ম করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। গভীর অনুসন্ধান করলে তার সকল দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রকাশিত হবে দাবি করেন রাসিকের ওই কর্মকর্তা।
স্ব.বা/বা