স্বদেশ বাণী ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে ওই অফিসের এক নারী অফিস সহায়কের (পিয়ন) অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই সিসিটিভির ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পরই ছুটিতে চলে গেছেন জয়নাল আবেদীন।
তবে মোবাইল ফোনে ঘটনা স্বীকার করে জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি ভুল করেছি। শয়তানের প্ররোচনায় আমি ভুল করেছি। আমি এ ঘটনার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
ওই নারী পিয়ন বলেন, জয়নাল সাহেব আমার ঊর্ধ্বতন অফিসার। তিনি আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজ করেছেন। চাকরির ভয়ে আমি চুপ ছিলাম।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষি কর্মকর্তা কাজী হাবিবুর রহমান জানান, এরইমধ্যে জয়নালকে বন্দর উপজেলা থেকে বদলি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। যৌন হয়রানির শিকার ওই নারী চাইলে ফৌজদারি মামলা করতে পারেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার জানান, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে জেলা কৃষি কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে জয়নাল আবেদীনকে বদলি করা হয়েছে।
বন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাহমিনা বেগম জানান, আমি সিসিটিভি ফুটেজটি দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তার নির্দেশে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি জেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
ফাঁস হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত ৮ অক্টোবর সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন তার রুমে বসে অফিসের নারী পিয়নের সঙ্গে কথা বলছেন। একপর্যায়ে চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে তিনি জোর করে ওই নারীর গায়ে হাত দিচ্ছেন। ওই নারী টেনে তার হাত সরিয়ে দেন।
পরে তিনি (ওই নারী) বাইরে চলে যান। তিন-চার মিনিট পর জয়নাল আবেদীন আবার ওই নারীকে রুমে নিয়ে আসেন এবং চেয়ারে বসে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন।
এরপর ওই নারী কর্মী আবার রুম থেকে বের হয়ে যান। তার দুই মিনিট পর জয়নাল আবেদীনও রুম থেকে বের হয়ে যান। দুই তিন মিনিট পর আবার জয়নাল আবেদীন এবং ওই নারীকর্মী রুমে প্রবেশ করেন। এরপর তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়। প্রায় ১৪ মিনিটের এ ফুটেজটি ছড়িয়ে পড়েছে। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা