স্বদেশ বাণী ডেস্ক: বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দিনাজপুরের হাকিমপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ১৬ জনকে বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন উপ-পরিদর্শক (এসআই), আটজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও চারজন কনস্টেবল রয়েছেন।
গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি আদেশে তাদের বদলি করা হয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেনকে ঢাকায় শিল্প পুলিশে, উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব হোসেনকে পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে এবং আমির সোহেলকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়। এছাড়া আরও ১৩ জনকে বিভিন্ন থানা, পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, আনোয়ার হোসেন ওসির দায়িত্ব নেয়ার আগে হাকিমপুর থানায় পরিদর্শকের (তদন্ত) দায়িত্ব ছিলেন। তখন ওসির দায়িত্ব থাকা আব্দুল হাকীম আজাদকে ষড়যন্ত্র করে বদলি করান। এরপর তিনি থানার ওসির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মাদক নির্মূলের নামে স্থানীয় মাদকের গড ফাদারদের সঙ্গে আঁতত করে লাখ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করেন।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হলো, নিরীহ লোকজনের নামে মাদকের মিথ্যা মামলা দিয়ে স্বার্থ হাসিল করা, হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্টে তিনটি ভেকু মেশিন দিয়ে এককভাবে ব্যবসা করা, পুলিশের নামে চোরাচালানের টাকা আদায়ে লাইনম্যান নিয়োগ করা, বন্দর পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করা, কয়েকটি ট্রাকসহ অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়া, লোক দেখানো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিশু শিক্ষার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাকে বদলি করা হয়েছে।
অন্যদিকে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব হোসেন ও আমীর সোহেলের নামেও নিরীহ লোকজনদের হয়রানিসহ মিথ্যা মামলা দেয়া এবং লোকজনকে আটক করে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
হাকিমপুর থানা পুলিশের ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রেজাউল করিম ওসিসহ ১৬ জনের বদলির সতত্যা স্বীকার করেছেন। তবে কী কারণে এক সঙ্গে থাকা থেকে ১৬ বদলি করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা