কথায় কথায় মানুষ খুন করাই এরশাদের নেশা

জাতীয়

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ত্রাস জেলার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার নানা কাহিনী বেরিয়ে আসছে। ত্রাসের রাজত্ব বজায় রাখতে’ ৮০-এর দশক থেকেই দলবদল করে আসা এরশাদুর রহমানের গ্রেপ্তারের পর এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।

দিন মজুরের সন্তান এরশাদুরের বৈধ আয় না থাকলেও তিনি এখন বাড়ি, ফ্ল্যাট, গাড়ি, ইটভাটার মালিক। এলাকায় রয়েছে তার বিঘায় বিঘায় জমি। তার আয়ের মূল উৎসই হচ্ছে চাঁদাবাজি, অবৈধ বালু উত্তোলন, দখল ও কন্ট্রাক্ট কিলিং। কথায় কথায় মানুষ খুন করা তার নেশা।

যখন যে দল ক্ষমতায় আসেন এরশাদ তখন সেই দলে ভিড়েছেন বিনা বাধায়। ২৯ অক্টোবর রাতে অক্সিজেন এলাকা থেকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করার আগে তিনি আওয়ামী লীগ করতেন। রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করার আগে তিনি ছিলেন রাঙ্গুনিয়ার ত্রাস।

জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী আইয়ুব বাহিনীর প্রধান আইয়ুবের হাত ধরে ’৮০-এর দশকের মাঝামাঝি এরশাদ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পা বাড়ান। পরে আইয়ুবের সেকেন্ড ইন কমান্ড হন এরশাদ। আইয়ুবের সঙ্গে তিনি যোগ দেন সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর এনডিপিতে। সাকা চৌধুরী পরে বিএনপিতে যোগ দিলে এরশাদও বিএনপিতে ভেড়েন।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে এরশাদও বাহিনীর প্রধান আইয়ুবের সঙ্গে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ৫ অক্টোবর আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি হন আইয়ুব।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ অক্টোবর মারা যান। স্থানীয়রা বলছেন, এরশাদ জাত সন্ত্রাসী। শুধু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ধরে রাখতেই সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে তিনি বদল করেন দল। ফলে সরকার বদল হলেও তার রাজত্বের বদল হয় না।

অভিযোগ আছে, থানা পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে চলায় গ্রেপ্তার এড়িয়ে যাচ্ছিলেন রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আল আমীন পাড়ার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে এরশাদ।

রাঙ্গুনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুব মিল্কি বলেন, ‘এরশাদ রাঙ্গুনিয়া থানার তালিকাভুক্ত একজন সন্ত্রাসী। র‌্যাব নগরী থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে থাকা ৪টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *