বগুড়া প্রতিনিধি: চাকরি দেওয়ার নাম করে মেহেদী হাসান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি মন্ত্রী, এমপি ও সচিবদের নাম ভাঙিয়ে, কখনও আওয়ামী লীগের বড় নেতা পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখাতেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় মামলা করলে পুলিশ শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার তেজগাঁওয়ের একটি আবাসিক হোটেল থেকে মেহেদীকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার (২৫ নভেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এজাহার থেকে জানা গেছে, মেহেদীর বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা গ্রামে। তিনি ঢাকার একটি হোটেলে থাকেন। তার সঙ্গে ক্ষেতলাল উপজেলার কাচাকুল গ্রামের আহসান হাবিবের পরিচয় হয়। এরপর দু’জন চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করে। আহসান বগুড়া শিবগঞ্জের বেশ কয়েকজন শিক্ষিত বেকার যুবককে ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেন। তিনি তাদের কাছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
শিবগঞ্জ উপজেলার আঁচলাই গ্রামের নির্মল চন্দ্র সাহার ছেলে স্বপন কুমার সাহা জানান, আহসান হাবিব তাকে জানায় ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক বড় নেতার সঙ্গে তার পরিচয় আছে। তিনি সরকারের বিভিন্ন দফতরে চাকরি দিয়ে থাকেন। এরপর স্বপন, রায়হানসহ বেশ কয়েকজন বিশ্বাস করে জমি, বাড়িঘর বন্ধক রেখে হাবিবকে টাকা দেন। আহসান ও মেহেদী একইভাবে চকভোলাখাঁ গ্রামের একরাম আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম, টেপাগাড়ী গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আবু জাফর, অভিরামপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান, লক্ষ্মীকোলা গ্রামের আপেল মাহমুদ ও আঁচলাই গ্রামের রায়হান আলীর থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। বিশ্বাস করানোর জন্য তাদের চেক দেওয়া হয়। টাকা দেওয়ার পর অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও চাকরি হয়নি তাদের। কিছুদিন পরপর আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে প্রতারক মেহেদী তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।
এদিকে রায়হান আলীর বড় ভাই খোরশেদ আলী প্রতারণার শিকার ৬ জনের পক্ষে গত ১৯ নভেম্বর শিবগঞ্জ থানায় প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তেজগাঁর একটি আবাসিক হোটেল থেকে মেহেদীকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, মেহেদীকে জিজ্ঞাসাবাদে অর্থিক লেনদেনের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।
স্ব.বা/শা