বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় যাকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে, জীবিত সেই শ্রমিক আমিনুল ইসলাম থানায় হাজির হয়ে পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন,তাকে কেউ হত্যা করেনি।
শুক্রবার থানায় এসে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন জীবিত আমিনুল। ৩ ডিম্বেবর রাজশাহী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়েরের পর থানায় হাজির হন তিনি।
স্ত্রী জালেমা বেগম বাদি হয়ে একই গ্রামের মৃত মফেল উদ্দিনের ছেলে সন্দেহভাজন লালু মিয়াকে আসামী করে ৩ ডিম্বেবর রাজশাহী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার (আমিনুল) অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আদালতের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তালুকদার অভিযোগটি আমলে নিয়ে বাঘা থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মৃত নয়,জীবিত পাওয়া আমিনুল ইসলাম উপজেলার বলিহার গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,এধরনের মামলার তদন্ত নির্দেশ থানায় আসেনি। তবে আমিনুল নামের একজন হত্যা করা হয়নি মর্মে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।
আমিনুল ইসলাম বলেন, কারনে অকারনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শঃ দ্বন্দ্ব হয়। এতে স্ত্রীর দ্বারা নির্যাতিন হন। এ থেকে রক্ষার জন্য স্ত্রীর উপর রাগ করে ফরিদপুরে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন। যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে স্ত্রীর কাছে কোন টাকা পাঠাতেন না। খোঁজ খবর না পেয়ে স্ত্রীর ধারনা ছিল তার বন্ধু লালু মিয়াই তাকে কাজে পাঠিয়েছে। এমন সন্দেহ থেকে হত্যার অভিযোগে তার বন্ধু লালু মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি জানার পর থানায় হাজির হয়ে পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।
বাঘা থানার অফিসার ইনচাজর্ (ওসি ) নজরুল ইসলাম বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে তা তিনি জানেনা। আদালত থেকে মামলা সম্পর্কিত তদন্তের নির্দেশও পাননি। তবে আমাকে কেউ হত্যা করেনি, নিজের ইচ্ছায় শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলাম বলে আমিনুল ইসলাম নামের একজন লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।
স্ব.বা/শা