স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী ৩০ তারিখ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১০ ও ১১ নং ওয়ার্ডে প্রচারণা করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী ও রাজশাহী সদর আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জননেতা মিজানুর রহমান মিনু। এসময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল হুদা, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পদক রবিউল আলম মিলু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা ওয়ালিউল হক রানা, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জমান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি ও নাহিন আহম্মেদ এবং মহানগর সংগ্রামী দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনন ও সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মিলুসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী এবং শত শত সাধারণ ভোটার ও সমর্থকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মিনু বলেন, এই নির্বাচন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে। দেশের মানুষ এখন খোলা কারাগারে বসবাস করছে। কারো কথা বলার, পছন্দমত ভোট প্রদান এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার নাই। সরকারের কোন ধরনের সমালোচনা করলেই তাকে হয়রানীর স্বীকার হতে হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন করছে। এই নির্বাচন বানচাল করার জন্য সরকারী দল গভীর ষড়যন্ত্র করছে। ইতোমধ্যে দেশব্যাপি বিএনপি, ২০ দলীয় জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা প্রদান করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও নির্বানী অফিস ও গাড়ী ভাঙ্গচুর এবং ধানের শীষের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। সরকারী দল যতই অত্যাচার ও নির্যাতন করুক বিএনপি একতাবদ্ধ ভাবে মাঠে থেকে নির্বাচন করে যাবে বলে তিনি জানান।
নির্বাচিত হলে রাজশাহীর জন্য কি করবেন জানতে চাইলে মিনু বলেন, তিনি যখন মেয়র ও সংসদ সদস্য ছিলেন তখন রাজশাহীকে ঢেলে সাজিয়ে ছিলেন। তিনি রাজশাহীকে বিশে^র দরবারে একটি শান্তির শহর এবং গ্রীন সিটি, হিসেবে পরিচিত করিয়ে ছিলেন। এর জন্য সে সময়ে সিটি কর্পোরেশন বেশ কয়েকবার পুরস্কার লাভ করে। এছাড়াও এই শহরকে তিনি ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি ও এডুকেশন সিটি হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেই সিটির সুনাম নষ্ট করে এখন মাদকের শহরে পরিণত করেছে। তিনি আরো বলেন, শহরের বেকারত্ব কমানোর জন্য তাঁর সময়ে বিভিন্ন অফিসে এবং প্রতিষ্ঠানে বহু যুবক যুবতীকে চাকরীর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বতর্মানে বেকারত্বে শহর ভরে গেছে। বেড়েছে চাঁদাবাজী ও ছিনতাই। এই সরকারের আমলে শহরে আর কোন উন্নয়ন হয়নি। তিনি যে সকল অফিস, আদালত ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান এবং রাস্তা, মাস্টার ড্রেন সহ অন্যান্য স্থাপনা করে গিয়েছিলেন সেইগুলোই এখনো রয়েছে। নতুন করে কেউ আর কোন কিছু করেনি। সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলুবুল উন্নয়নের চাকা সচল করতেই তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার হতে হয়। তার পরেও তার আমলে কিছু উন্নয়ন করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত রাজশাহীকে একটি আধুনিক ও মডেল সিটি হিসেব গড়ে তুলবেন বলে জানান। সেইসাথে রাজশাহীকে আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন মিনু।
প্রচারণার সময় অত্র এলাকা সমুহে উৎসবের আমেজ শুরু হয়। প্রতিটি মানুষ রাস্তা, বাড়ির ছাদ ও বারান্দায় চলে আসেন। তারা তাদের প্রিয় এই নেতাকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। সেইসাথে ধানের শীষে ভোট দিয়ে মিনুকে বিজয়ী করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও তার সাথে বিএনপি নেতাকমীসহ রাস্তায় জনতার ঢল নামে। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ধানের শীষে ভোট প্রদানের জন্য স্লোগান দিতে থাকেন।